দেশের বৃহত্তম ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজ রফতানিতে ভারতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের খবরে রবিবার (২০ আগস্ট) সকাল থেকে খাতুনগঞ্জের আড়তে কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ প্রসঙ্গে চাকতাই-খাতুনগঞ্জে আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘পেঁয়াজ রফতানিতে ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণে সীমান্তে স্থলবন্দর এলাকায় দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে খাতুনগঞ্জে। রবিবার সকাল থেকে কেজি প্রতি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আগেরদিন শনিবার ৫০-৫৫ টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়।’
এ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘ভারত ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি দেশ পেঁয়াজ রফতানি করে। ভারতে দাম বেড়েছ, এখন অন্য দেশের মার্কেট খোঁজা প্রয়োজন। বাংলাদেশ আগেও অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হতো। এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার সুযোগ দিতে হবে।’
এদিকে, নগরীর আতুরার ডিপো বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ টাকায়।
নজরুল ইসলাম নামে মুরাদপুর সঙ্গীত এলাকার বাসিন্দা জানান, শনিবার ভারত পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। রাত পার না হতেই দেশে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। অথচ শুল্ক আরোপের পেঁয়াজ এখনও দেশে আসেনি।
গত ৪ জুন কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার কথা জানানো হয়। এরপর ভারত থেকে আমদানি হওয়া পেঁয়াজ ৬ জুন থেকে খাতুনগঞ্জে আনা হয়। যা বিক্রি হয় ৭ জুন থেকে। আমদানির আগে খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয় ১০০ টাকা পর্যন্ত। আমদানির দুই দিন পর থেকে পেঁয়াজের কেজি ২৮ থেকে ৩০ টাকায় নেমে আসে। এখন সেই পেঁয়াজ আবারও বেড়ে ৬৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
শনিবার (১৯ আগস্ট) পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে ভারত। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতেই মূলত এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপরই দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে।