এবার চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে এক জোড়া জলহস্তী। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকা জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে এই প্রাণী দুইটি আনার কথা রয়েছে। এর পরিবর্তে ঢাকা চিড়িয়াখানাকে দেওয়া হচ্ছে এক জোড়া বাঘ। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় জলহস্তী রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে নতুন খাঁচা। কুমিরের আগের জায়গায় নতুন অতিথির জন্য এ খাঁচা তৈরি করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যে কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে উল্লেখ করে চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আগামী ২০ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় আনা হচ্ছে এক জোড়া জলহস্তী। বিনিময়ে ঢাকা চিড়িয়াখানাকে দেওয়া হচ্ছে এক জোড়া বাঘ। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৬টি বাঘ আছে। চলতি বছর ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম আনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক জোড়া সিংহ। একই সময় আনা হয় চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট। দরপত্রের মাধ্যমে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকায় সিংহ, ম্যাকাও, ওয়াইল্ড বিস্ট, ক্যাঙ্গারু, লামা আমদানি করা হয়। ফ্যালকন ট্রেডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রাণীগুলো আমদানি করে।’
তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় নতুন জলহস্তী যুক্ত হলে প্রাণীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৬২০-এ। এই চিড়িয়াখানায় সর্বমোট ৬৮ প্রজাতির পশুপাখি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৪ প্রজাতির পাখি ও চার প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী আছে।
চিড়িয়াখানায় বর্তমানে দুই জোড়া সিংহ রয়েছে। আগে থেকেই নোভা ও বাদশা নামে দুটি সিংহ রয়েছে। নোভা নামের সিংহটি প্রায় ১১ বছর একা থাকার পর রংপুর চিড়িয়াখানা থেকে ২০১৬ সালে বাদশা নামের সিংহটি আনা হয়। এই দুই সিংহের বয়স ১৮ বছরের বেশি।
চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দাদের জন্য এ চিড়িয়াখানা সবচেয়ে বড় বিনোদনের স্থান। এখানে পশুপাখি ছাড়াও আছে শিশুদের জন্য আলাদা জোন। যেখানে দোলনাসহ রয়েছে নানা রাইড। চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ফি নেওয়া হয় জনপ্রতি ৭০ টাকা। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার দর্শনার্থী টিকিট নিয়ে প্রবেশ করেন। তবে সরকারি ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সংখ্যা বেড়ে ছয় থেকে সাত হাজার হয় বলে সূত্র জানিয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক পরিচালিত বর্তমানে বাঘ, সিংহ ছাড়াও রয়েছে জেব্রা, ভাল্লুক, হরিণ (চিত্রা, সাম্বার, মায়া), উল্লুক, বানর, মেছো বিড়াল, চিতা বিড়াল, অজগর, বাঘডাসা, উটপাখি, ইমু পাখি, গয়াল, কুমির, ময়ূর, ঘোড়া, বক, টিয়াসহ ৬৮ প্রজাতির ৬২০টি পশুপাখি। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে চিড়িয়াখানা ২০১৯ সালে দলগতভাবে বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক অর্জন করে।