কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় এক মাইক্রোবাস চালককে পূর্ব শত্রুতার জেরে কুপিয়ে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সুলতানপুর ইউনিয়নের বক্রিকান্দি গ্রামের মধ্যনগর বহুমুখী মাদ্রাসার পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ওই চালককে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আহত চালক রহিম সরকারের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি মামলা করেন।
আহত অটোরিকশা চালকের নাম মো. রহিম সরকার। তিনি উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের বক্রিকান্দি গ্রামের সামাদ সরকারের ছেলে।
আহত রহিম বলেন, স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে আগে বিভিন্ন কারণে বিরোধ হয়। এর জেরে সোমবার সকাল ৬টার দিকে আমি গ্রামের রাস্তায় হাঁটতে বের হই। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন মোটরসাইকেল দিয়ে আমার গতিরোধ করে। আমাকে টেনেহিঁচড়ে মধ্যনগর বহুমুখী মাদ্রাসার পূর্ব পাশের একটি কালভার্টে ওপর নিয়ে যায়। পরে তাদের হাতে থাকা রাম দা, লোহার রড, হকিস্টিক ও গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আমাকে গুরুতর আহত করে। তারা আমার দুই পা ও দুই হাত ভেঙে দেয়। আমি চিৎকার করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে তারা আমাকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে যায়।
রহিম সরকারের স্ত্রী ও মামলার বাদী সুমাইয়া আক্তার বলেন, এ ঘটনায় বক্রকান্দি গ্রামের ফয়েজ উল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে শাহাদাত ভূঁইয়া, সালমান ভূঁইয়ার ছেলে আবু সাঈদ, জাহাঙ্গীর ভূঁইয়ার ছেলে নাজিম, রফিক ভূঁইয়ার ছেলে আলাউদ্দিন, আলী আকবরের ছেলে কাউসার আহমেদ, আব্দুল মালেকের ছেলে মমিন ভুঁইয়ার নামে মামলা করেছি। বর্তমানে আমার স্বামী মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তার পুরো শরীরকে রড, রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে তারা।
দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, রহিমের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।