তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে, তা অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের মতো গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে ওপরের দিকে উঁকি দিয়ে কয়েকদিন পরপর কর্মসূচি দেয়। তাদের কর্মসূচি কি? গাড়ি পোড়ানো এবং মানুষ পোড়ানো। তাই তাদের সঙ্গে এখন আর মানুষ নেই।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক এম. ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে। গতকাল কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছেন। বিএনপির নয়াপল্টনের অফিসে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি, নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষ খুঁজে পাচ্ছেন না। যে দল নিজেদের অফিসের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তারা আবার কী আন্দোলন করবে।’
ইসরায়েল ১৪ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে, এর মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইহুদিরা কিংবা ইসরায়েলিদের যারা মদত দেয়, তারা রাগ করবে বলে বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি। একটি কথাও বলেনি। এজন্য তাদের ওপর গজব নাজিল হয়েছে। অথচ গাজায় নারী-শিশুদের হত্যার বিরুদ্ধে তেলআবিবে স্বয়ং ইহুদিরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, মিছিল করেছে। অন্যদিকে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আমি প্রতিদিন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।’
আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানির নিচ দিয়ে এভাবে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। আজ থেকে ১৩০ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেওয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের নেত্রী সেটি বাস্তবায়ন করেছেন। বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপারে গিয়ে বক্তব্য দেন দেশে কিছুই হয়নি। একইভাবে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে কিংবা ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারে যাবেন তারা। তাদের উচিত, তওবা করে টানেল ও ট্রেনে চড়া।’
উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্যসচিব এসএম আবুল ফজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার রশীদ আহমদের যৌথ সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুন উর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার প্রমুখ।