প্রচারণার চতুর্থ দিন সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর টমছমব্রিজ বাজার, ২০নং ওয়ার্ডের দিশাবন্দ, কাজীপাড়া ও নিউ মার্কেট এলাকায় গণসংযোগ-উঠান বৈঠক করেছেন টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু।
এ সময় তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ৩০ জুন সিটি নির্বাচন হয়েছে। ইভিএম মেশিন কী করেছে আপনারা জানেন। কুমিল্লার জনগণ দেখেছে। এ কারণে ইভিএম বিশ্বাস করতে পারছি না। বিষয়টি আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তিনি আমাকে বলেছেন, নির্বাচন কমিশনার কুমিল্লা আসবেন। ডিসি সাহেবও থাকবেন। প্রার্থীদের সঙ্গে বসবেন। সেখানে আমি গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা বলবো। ইভিএম মেশিনের ফলাফল কেন আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি হলো? তাদের ভাবমূর্তি নিজেরা কেন নষ্ট করলো? মানুষ আমাকে বারবার প্রশ্ন করে, ভোটের মর্যাদা রাখতে পারবেন কি-না? আমি বলি, আপনারা ভোট কেন্দ্রে আসুন। যাকে ভালো লাগে তাকে ভোট দিন।’
নিজের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে সাক্কু বলেন, ‘আমার পোস্টার যারা লাগায়, তাদের ব্যাপক মারধর করেছে। সে প্রতীকের নাম বলবো না। তাদের ভিডিও আমি নির্বাচন কমিশনে দিয়েছি। সাধারণ ডায়েরি করেছি। ওসিকে জানিয়েছি। তারা যদি বিচার না করে, আর সহ্য করা হবে না। আপনি আমার কর্মীদের মারবেন। আর আমি মেয়র হবো, এমন লোক আমি না।’
নবীন ভোটারদের বিষয়ে বলেন, ‘১২ হাজার নতুন ভোটার। তারা অতীতে ভোট না দিলেও নির্বাচন দেখেছে। ভালোমন্দ বোঝে। শহরকে শান্তিপূর্ণ রাখতে টেবিল ঘড়ি মার্কায় প্রথম ভোট দেবেন।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের এই সিটির তৃতীয় নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আরফানুল হক রিফাত। ২০২৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত। মোট ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচন ৯ মার্চ ইভিএমে হবে। এবার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে সাক্কু ছাড়াও আরও তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।