ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় বাবার বাড়ি বেড়াতে এসে তিন সন্তানসহ নিখোঁজ গৃহবধূকে (২৮) বগুড়া থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সোমবার (১০ জুন) সকালে তাদের উদ্ধার হয়। এ সময় মেহেদী হাসান (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গৃহবধূর দাবি, সন্তানসহ অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। এ ঘটনায় মেহেদীকে প্রধান আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন গৃহবধূ। তবে মেহেদী অপহরণের কথা অস্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানিয়েছেন, গত ২ জুন তিন কন্যাসন্তানকে নিয়ে আখাউড়া উপজেলায় স্বামীর বাড়ি থেকে বিজয়নগরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান গৃহবধূ। ৭ জুন বেলা ১১টার দিকে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। আখাউড়া থেকে পরিচিত একজনের অটোরিকশাযোগে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল বাজার পর্যন্ত আসেন। ওই অটোরিকশা থেকে নেমে অজ্ঞাত একজনের অটোরিকশায় ওঠেন। বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতে না পৌঁছায় শ্বশুরকে ফোন করেন গৃহবধূর স্বামী। এ ঘটনায় ৮ জুন দুপুরে গৃহবধূর বাবা বিজয়নগর থানায় জিডি করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ওই নারীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। বগুড়া পুলিশের সহযোগিতায় সদর উপজেলার একটি বাসা থেকে গৃহবধূ ও তিন সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর গৃহবধূ দাবি করেছেন, মেহেদী হাসান ও তার এক সহযোগী অচেতন করে তাদের অপহরণ করেছিল। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, তাদের একটি বাসায় আটকে রাখা হয়েছে।
তবে গ্রেফতারকৃত মেহেদী হাসান দাবি করেছেন, ফেসবুকে ওই গৃহবধূর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। দীর্ঘদিন ধরে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি গৃহবধূকে বিয়ে এবং বগুড়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেন। অন্যথায় আত্মহত্যার হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে তাকে নিয়ে যান। এখানে অপহরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
বিজয়নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় গৃহবধূ বাদী হয়ে মেহেদীকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেছেন। ঘটনার তদন্ত করছে। তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।’
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেইসঙ্গে আদালত থেকে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গৃহবধূ ও তার সন্তানদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’