X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২
পাহাড়ে কুকিচিনের অত্যাচার

মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত না হতে ছেড়েছিলেন ঘর, ফিরলেন ২৩ মাস পর

বান্দরবান প্রতি‌নি‌ধি
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৩আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:০৩

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কু‌কি‌চি‌নের অত‌্যাচা‌রে বাড়ি-বসতভিটা ছেড়েছিল বাকলাইপাড়ার ১৫টি পরিবার। অবশেষে দীর্ঘ ২৩ মাস পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ৮১ জন সদস্য সেনা সহায়তায় তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন।

লাগাতার যৌথ অভিযানের কার‌ণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এলাকাবাসী নিজ পাড়ায় ফেরত আসতে শুরু করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকায় কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বম পার্টি) নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয় অধিকাংশ অধিবাসী।

কুকিচিন সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অন্যায় দাবি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জোরপূর্বক মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে শিশুসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে এতদিন এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলে ক্ষুধা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন।

ফিরে আসা পরিবারগুলোর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করাসহ প্রয়োজনীয় রেশন সহায়তা প্রদান করা হয়। পাড়ার বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী একটি মেডিক‌্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করে। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং টিউশন ফি সুবিধা চালু করেছে সেনাবাহিনী।

এক প্রেস বিজ্ঞ‌প্তির মাধ‌্যমে বিষয়গু‌লো নি‌শ্চিত ক‌রেন আন্তবা‌হিনী জনসং‌যোগ প‌রিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী প‌রিচালক রা‌শেদুল আলম খান। তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর অত্যাচারে গ্রামছাড়া সকল ভুক্তভোগী পরিবারকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
যৌথবাহিনীর অভিযানে সাত দিনে আটক ৩৮০
গুমের সঙ্গে সেনাসদস্যদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তদন্ত করছে সেনাবাহিনী
দুর্গম পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান চলছে
সর্বশেষ খবর
আ.লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক
আ.লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশ সদস্য আটক
হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক গভীর যে কারণে
হিজরি সনের সঙ্গে ইসলামের সম্পর্ক গভীর যে কারণে
চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত ২
১৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া সহকর্মীরা
১৩ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অভিযুক্ত শিক্ষককে বাঁচাতে মরিয়া সহকর্মীরা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
মুরাদনগরে দুই সন্তানসহ মাকে পিটিয়ে হত্যা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল
প্রশ্নপত্রে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির গল্প, পরীক্ষা বাতিল