বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কুকিচিনের অত্যাচারে বাড়ি-বসতভিটা ছেড়েছিল বাকলাইপাড়ার ১৫টি পরিবার। অবশেষে দীর্ঘ ২৩ মাস পর শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর ৮১ জন সদস্য সেনা সহায়তায় তাদের নিজ বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
লাগাতার যৌথ অভিযানের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় এলাকাবাসী নিজ পাড়ায় ফেরত আসতে শুরু করেছেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বান্দরবান জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকায় কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (বম পার্টি) নামক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য হয় অধিকাংশ অধিবাসী।
কুকিচিন সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, অন্যায় দাবি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জোরপূর্বক মানবঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে শিশুসহ পরিবার-পরিজন নিয়ে এতদিন এসব পরিবারের সদস্যরা দুর্গম পাহাড় ও জঙ্গলে ক্ষুধা ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন।
ফিরে আসা পরিবারগুলোর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করাসহ প্রয়োজনীয় রেশন সহায়তা প্রদান করা হয়। পাড়ার বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী একটি মেডিক্যাল ক্যাম্প পরিচালনা করে। এ ছাড়া এলাকার শিক্ষাব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং টিউশন ফি সুবিধা চালু করেছে সেনাবাহিনী।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়গুলো নিশ্চিত করেন আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান। তিনি জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠনগুলোর অত্যাচারে গ্রামছাড়া সকল ভুক্তভোগী পরিবারকে নিজ ঘরে ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।