যথাযোগ্য ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে রাঙামাটিতে উদযাপিত হয়েছে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা)। রবিবার (১১ মে) সকালে এ উপলক্ষে শহরের ভেদভেদিতে সংঘরাম বৌদ্ধ বিহারসহ জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে কর্মসূচি পালিত হয়।
প্রদীপ প্রজ্বালন শেষে নিজেকে সমাপন করেন বুদ্ধের চরণে। মনের সকল নিবেদন নিয়ে বুদ্ধের কাছে করেছেন প্রার্থনা। এ ছাড়াও পুণ্যার্থীরা বুদ্ধস্নান, বুদ্ধপূজা, পঞ্চশীল, অষ্টশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তি দানের পর যোগ দেন সমবেত প্রার্থনায়।
রাঙামাটি সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার প্রধান ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মাহাথের ও অন্য ভান্তেরা পুণ্যার্থীদের মাঝে ধর্মীয় দেশনা দেন। এ সময় রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিহারে আসা পুণ্যার্থী মনষি দেওয়ান জানান, বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বুদ্ধত্বলাভ ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করায় ত্রিস্মৃতি বিজড়িত দিনটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে খুবই গুরত্বপূর্ণ ও পুণ্যময়। তাই বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে এই দিনটি খুবই পুণ্যময় একটি দিন। এই দিনে নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করা হয়। নিজের পাশাপাশি জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করা হয়। এমন পুণ্যময় অনুষ্ঠানে ভক্তকুলের প্রার্থনা সকল সম্প্রদায়ের মৈত্রীময় সহাবস্থান।
রাঙামাটি সংঘরাম বৌদ্ধ বিহার প্রধান ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মাহাথের বলেন, ‘পার্বত্য এলাকাসহ পুরো বাংলাদেশ তথা পুরো বিশ্বের মঙ্গল ও শান্তিকামনা করছি। প্রত্যেক নরনারী ও প্রতিটি মানুষ সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারে। আমাদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়ে যাক। সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করতে পারি সেই প্রার্থনা এই দিনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তথাগত ভগবান মহামতি গৌতম বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি বিজড়িত এই পূর্ণিমাতিথি বৌদ্ধদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যবহ। এদিন মহামানব গৌতম বুদ্ধ জন্ম, বুদ্ধত্ব ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। এই তিনটা ঘটনার মাধ্যমে আমরা এই শিক্ষা পেতে পারি এই পৃথিবীতে একজন মহাপুরুষের আবির্ভাব প্রয়োজন, ওনার জ্ঞান লাভ করার জন্য সাধনা প্রয়োজন, পৃথিবীতে যতই মহাপুরুষ হন না কেন ওনাকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে।’