শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে ১১৫ ওভারে ৪৫৬/৮ (বিশ্ব ২*, কুশল ৮২*; উদারা ৪০, চান্ডিমাল ৯৩, নিসাঙ্কা ১৫৮, ধনাঞ্জয়া ৭, প্রবাথ ১০, কামিন্দু ৩৩, দিনুশা ১১, থারিন্দু ১০) লিড ২০৯।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৭৯.৩ ওভারে ২৪৭/১০ (রানা ০*: বিজয় ০, মুমিনুল ২১, শান্ত ৮, সাদমান ৪৬, লিটন ৩৪, মুশফিক ৩৫, মিরাজ ৩১, নাঈম ২৫, এবাদত ৮, তাইজুল ৩৩)
তাইজুলের চতুর্থ শিকার থারিন্দু
লেজের দিকে থারিন্দু রত্নায়েকে নিয়ে লিড বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন কুশল মেন্ডিস। থারিন্দু বড় শট খেলার চেষ্টায় ছিলেন। সেই চেষ্টাতেই তাকে ফাঁদে ফেলে নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেছেন তাইজুল ইসলাম। মেরে খেলতে গিয়ে থারিন্দু আউট হয়েছেন ১০ রানে।
কুশল মেন্ডিসের ফিফটি
লঙ্কানদের নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের তৃতীয় দিনে হাল ধরে খেলছেন কুশল মেন্ডিস। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি। তিনি ফিফটির দেখা পেয়েছেন ৬০ বলে।
লাঞ্চ থেকে ফিরে দিনুশাকে ফেরালেন নাঈম
লাঞ্চ থেকে ফিরে দ্বিতীয় ওভারেই আঘাত হেনেছেন নাঈম হাসান। পড়েছে লঙ্কানদের সপ্তম উইকেট। নাঈমের ফুল লেংথের ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন সোনাল দিনুশা। পুরোপুরি পরাস্ত লঙ্কান ব্যাটার ফিরেছেন ১১ রানে। এটি ছিল নাঈমের তৃতীয় শিকার।
৪ উইকেট নিয়ে প্রথম সেশন বাংলাদেশের
শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল। যেভাবে ব্যাট করছিল তাতে মনে হচ্ছিল লিড অনেক বড় হবে স্বাগতিকদের। কিন্তু বাংলাদেশের বোলাররা প্রথম সেশনে ৪ উইকেট তুলে শ্রীলঙ্কার লিড দুইশর নিচে রাখার স্বপ্ন দেখছে। স্বাগতিকরা ৬ উইকেটে ৪০১ রান তুলে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে। ব্যাট করছেন কুশল মেন্ডিস ৪২* ও সোনাল দিনুশা ৮*। শ্রীলঙ্কার লিড এখন ১৫৪।
দিনের নড়বড়ে শুরুর প্রথম ঘণ্টায় পাথুম নিসাঙ্কা (১৫৮) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৭) ফিরিয়ে লঙ্কানদের বড় লিডের পথে কাঁটা বিছিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। নাহিদ রানা প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে (১০) ফিরিয়ে তুলে নেন আরও একটি উইকেট। তার পর কামিন্দু-কুশল মিলে প্রতিরোধ গড়লেও লাঞ্চের একটু আগে দারুণ এক ডেলিভারিতে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন নাঈম। বোল্ড হন কামিন্দু মেন্ডিস (৩৩)।
কামিন্দুকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন নাঈম
সকালে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া শ্রীলঙ্কাকে দিশা দেখাচ্ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস ও কুশল মেন্ডিস। ৪৯ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের ব্যাটে ভর করেই শ্রীলঙ্কার লিড একশ ছাড়িয়ে সমৃদ্ধ হতে থাকে। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো এই জুটি ভেঙেছেন নাঈম হাসান। তার দারুণ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়েছেন কামিন্দু। লঙ্কান ব্যাটার বিদায় নেন ৩৩ রানে।
প্রবাথকে ফিরিয়ে অবশেষে উইকেট পেলেন নাহিদ
তাইজুল ইসলামের আঘাতে দ্রুত দুই উইকেট পতনের পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টায় ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস ও নাইটওয়াচম্যান প্রবাথ জয়াসুরিয়া। প্রবাথকে বিদায় দিয়ে লঙ্কানদের আরও চেপে ধরার মঞ্চ গড়েছেন পেসার নাহিদ রানা। প্রবাথ তৃতীয় স্লিপে মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ১০ রানে।
প্রবাথকে ফিরিয়ে অবশেষে উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাহিদ। প্রথম টেস্টে কোনও উইকেটই পাননি তিনি।
নিসাঙ্কার পর তাইজুলের শিকার ধনাঞ্জয়া
পাথুম নিসাঙ্কাকে থামানোর পর নতুন ব্যাটার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও বিদায় দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। দ্রুত সময়ে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
তাইজুলের ঘূর্ণি বলে পরাস্ত হন লঙ্কান অধিনায়ক। বল প্যাডে আঘাত করলে বাংলাদেশের এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ধনাঞ্জয়া রিভিউ নিলেও লাভ হয়নি। তিনি বিদায় নেন ৭ রানে।
অবশেষে নিসাঙ্কাকে থামালেন তাইজুল
বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘুরাতে থাকা নিসাঙ্কা তৃতীয় দিনের শুরুতেই পূরণ করেন ১৫০। তার পর প্রথম ইনিংসের স্কোর তিনশ পার করে শ্রীলঙ্কা। তাতে লিডও ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ। কিন্তু ৮৩.১ ওভারে নিসাঙ্কাকে ১৫৮ রানে থামান তাইজুল। তার ঘূর্ণি বল এগিয়ে এসে খেলার চেষ্টা করলে শর্ট কভারে এনামুল হকের তালুবন্দি হন লঙ্কান ওপেনার। তার ২৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ১৯টি চার।
লঙ্কানদের দ্রুত বেঁধে ফেলার আশায় তৃতীয় দিন শুরু বাংলাদেশের
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৪৭ রানে অলআউটের পর শক্ত জবাব দিচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছে স্বাগতিক ব্যাটাররা। ওপেনিংয়ে লাহিরু উদারার সঙ্গে পাথুম নিসাঙ্কা ৮৮ রানের জুটি গড়েন। তারপর দ্বিতীয় দিন পুরোটা সময় দিনেশ চান্ডিমালকে নিয়ে ২২ গজ শাসন করেছেন নিসাঙ্কা। শেষ বিকালে দুজনের ১৯৪ রানের জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান।। ৯৩ রান করে আউট হন চান্ডিমাল।
তাদের যতদ্রুত সম্ভব বেঁধে ফেলার লক্ষ্যে তৃতীয় দিন খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন নাইটওয়াচম্যান প্রবাথ জয়াসুরিয়া এবং দাপট দেখানো পাথুম নিসাঙ্কা।। শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ২৯০ রান নিয়ে খেলতে নেমেছে। নিসাঙ্কা ১৪৬ ও প্রবাথ ৫ রানে অপরাজিত থেকে দিন শুরু করেছেন।