সাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রামসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমি ধস এবং চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় ৩ থেকে ৪ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে তিন নম্বর সতর্কসংকেত আজ এবং কাল শুক্রবার পর্যন্ত বহাল থাকবে। এরপর আবহাওয়ার উন্নতি হবে। বর্তমানে চট্টগ্রামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গত চব্বিশ ঘণ্টায় বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ৬টা পর্যন্ত ৪৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। কাল শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।’
এদিকে, চট্টগ্রামে বৃষ্টিতে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে জমে গেছে পানি। এতে যানবাহনসহ পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে নগরীর জিইসি মোড়, বহদ্দারহাট, ইপিজেড, বন্দরটিলা, বাকলিয়া, চকবাজার, হামজারবাগসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে পানি জমে দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
আনোয়ারায় ভেঙে গেছে শঙ্খ নদীর বাঁধ
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে শঙ্খ নদীর বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে উপজেলার ১১ নম্বর জুঁইদন্ডী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে শঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। প্রায় দশ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ার কারণে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। শুধু তাই নয়, স্থানীয়রা জানান একই স্থানে প্রায় আধা কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বেড়িবাঁধের বিপরীতে থাকা চারটি গ্রামের প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ছাড়াও বৃষ্টি, লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন উপজেলার পারকি সমুদ্রসৈকতের ৪০০ মিটার বেড়িবাঁধ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিষয়টি আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবগত করেছি। তারা আজকে সরেজমিন এসেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।’