মাদারীপুরের সরকারি নাজিমউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের গণিত বিভাগের প্রভাষক রিপন চক্রবর্তীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন একজনকে ধরে ফেলে। তাকে আটক করে মাদারীপুর সদর থানায় রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের সন্দেহ এটা জঙ্গি হামলার ঘটনা হয়ে থাকতে পারে। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। হামলার কারণ জানা যায়নি।
আহত শিক্ষককে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থা বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, আটককৃত তার নাম জানিয়েছে গোলাম ফাইজুল্লাহ। তার পিতার নাম গোলাম ফারুক। বাড়ি চাপাইনবাবগঞ্জের দীঘিয়াপাড় গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী সোবহান মুন্সী জানান, শিক্ষক রিপন চক্রবর্তী কলেজগেটে তার বাড়িতে একটি ছোট কক্ষে একা ভাড়া থাকেন। দুপুরে কলেজ থেকে ফিরে শিক্ষক তার কক্ষে অবস্থান করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টার পর তিন যুবক দরজায় নক করে। এ সময় শিক্ষক দরজা খোলা মাত্রই তারা ভেতরে ঢুকে কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাদের চিৎকারে কলেজগেট এলাকার লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে এক যুবককে আটক করে।
পুলিশ সাংবাদিকদের জানায়, আটককৃত ফাইজুল্লাহ জানিয়েছেন তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য দুইজনের সঙ্গে এসেছিলেন। কোপানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা উত্তম কুমার পাল জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নাজিমউদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মন্ডল বলেন, প্রাথমিকভাবে আক্রমণের ধরণ দেখে জঙ্গি হামলার মতো মনে হয়েছে।
শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীর বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিলুগ্রামে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
/এফএস/