X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজবাড়ীতে জনপ্রিয় হচ্ছে ড্রাগন ফলের চাষ

তানভীর মাহমুদ,রাজবাড়ী
২৪ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৩আপডেট : ২৪ জুলাই ২০১৭, ১৩:৪৭

ড্রাগন ফলের গাছ অল্প জায়গায় স্বল্প খরচেই চাষ করা যায় ড্রাগন। সুস্বাদু এ ফলটি বিক্রি করেও বেশ ভালোই লাভ হয়। তাইতো রাজবাড়ীতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে ড্রাগন ফলের চাষ। ফসলি জমি কিংবা বাড়ির ছাদে টবে ড্রাগন গাছ লাগানো যায়।

রাজবাড়ীর মানুষের ২-৩ বছর আগেও ড্রাগন ফল পরিচিত ছিল না। এখন এটি বেশ পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ভেষজ গুণ থাকায় এ ফলের গাছটি রাজবাড়ীর প্রায় বাড়ির আঙিনা ও ছাদে চাষ হচ্ছে। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। শুধু একটু পরিচর্যা করলেই ড্রাগন গাছে ফল ধরে।  তাই ড্রাগন ফলের চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে এখানকার লোকজন।

ড্রাগন ফলের গাছ দেখতে ক্যাকটাসের মতো। ২০১১ সালে রাজবাড়ী হর্টিকালচার সেন্টারে পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ শুরু হয়। প্রতি হেক্টর জমিতে ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজন দেড় থেকে দুই লাখ টাকা। বছরে একটি ড্রাগন গাছ থেকে প্রায় ১৪০টি ফল পাওয়া যায়। এসব ফল আকার ভেদে ৪৫০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

ড্রাগন ফল

জেলার রূপপুর গ্রামের ড্রাগন ফল চাষি গফুর কাজী জানান,তিনি তার ১০ শতাংশ ফসলি জমিতে ২০০টির বেশি ড্রাগন গাছ লাগিয়েছিলেন। প্রত্যেকটি গাছই এখন ফুলে ফলে ভরা। ইতোমধ্যে তিনি এক মণের বেশি ফল বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ৪৫০টাকা দরে বিক্রি করেছেন। আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। অনান্য ফসলের পাশাপাশি ড্রাগন চাষ অধিক লাভজনক বলে তিনি জানান।

জেলার বেড়াডাঙ্গা সড়কের সৌখিন ড্রাগন ফল চাষি গৃহবধূ সালমা আফরীন বলেন, ‘প্রথমে ঢাকার একটি ফলের দোকান থেকে ড্রাগন ফল কিনে খাওয়ার পর রাজবাড়ীর হর্টিকালচার থেকে এর গাছ সংগ্রহ করে বাড়ির ছাদে লাগাই। এ বছরও বেশ কিছু ফল ধরেছে।’

বাড়ির ছাদে বেশ কয়েকটি ড্রাগন ফলের গাছ লাগিয়েছেন আব্দুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, ‘বাড়ির ছাদে টবে বা ড্রামের মধ্যে জৈব সারের মাটি ফেলে তাতে ড্রাগন চারা পুতে দিলেই হয়। ড্রাগন গাছ তিন ফুট উঁচু হলেই একটি শক্ত চিকন খুঁটির সঙ্গে সাইকেলের পুরাতন টায়ার ঝুঁলিয়ে দিলেই তাতে ডালপালা বিস্তার করে লতানো গাছটি। কয়েক মাস পরে ফুল ফোটে এবং ফল আসে। ড্রাগন ফল মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।’

কাঁচা ড্রাগন ফল

জেলা সদরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন জানান,সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে-দোঁআশ মাটিই ড্রাগন চাষের জন্য উত্তম।

তিনি আরও জানান,২০১৫ সালে যুব উন্নয়নের আর্থিক সহায়তা ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কর্তৃক ড্রাগন চাষে আগ্রহী ২০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাদের মাধ্যে প্রায় ২ হাজার ড্রাগন চারা বিতরণ করা হয়েছে। সেই থেকেই এখন ফল হচ্ছে। তারা বাণিজ্যিকভাবে এগুলো বিক্রি করছে।

 /এসটি/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গোল্ডেন রাইস ও বিটি বেগুন নিয়ে বিশিষ্টজনদের উদ্বেগ
গোল্ডেন রাইস ও বিটি বেগুন নিয়ে বিশিষ্টজনদের উদ্বেগ
বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা
বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে স্ট্যাটাস, এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা
তৃতীয় ধাপের ভোটের আগে চাঙ্গা মোদির এনডিএ ও বিরোধীরা
লোকসভা নির্বাচনতৃতীয় ধাপের ভোটের আগে চাঙ্গা মোদির এনডিএ ও বিরোধীরা
উগান্ডার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ৪৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার
উগান্ডার বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ৪৩ বছর বয়সী অলরাউন্ডার
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
পুলিশ-সাংবাদিক-আইনজীবী স্টিকারের ছড়াছড়ি, ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ
পুলিশ-সাংবাদিক-আইনজীবী স্টিকারের ছড়াছড়ি, ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ