X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

নূর হোসেনের দখলে থাকা ‘এবিএস’ বাস হেফাজতে নিলো ইফাদ অটোজ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৫৬আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:৫৭

এবিএস পরিবহনের বাস

আদালতের নির্দেশে ইফাদ অটোজ কোম্পানি কাছ থেকে নূর হোসেনের কিস্তিতে কেনা এবিএস পরিবহনের বাসগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার।

তিনি জানান, আদালতের নির্দেশে নূর হোসেনের দখলে থাকা ২২টি যাত্রীবাহী বাস ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল টেকপাড়ার বালুর মাঠ থেকে তারা বাসগুলো নিজেদের হেফাজতে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম জানান, ৭ খুনের ঘটনার আগে নূর হোসেন ঢাকার ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির কাছ থেকে কিস্তিতে ২৪টি যাত্রীবাহী বাস কিনে। সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন জেলে যাওয়ার পর কেউ বাসগুলোর কিস্তি পরিশোধ করেনি। ফলে ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানির পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার ফজলুল হক সরকার ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা (নং ৪২/১৭) দায়ের করেন। ওই মামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মির্জা রুনা লায়লা বাসগুলো ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানিকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ফলে বুধবার রাত থেকে  বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ওই কোম্পানি নিজস্ব রেকারের মাধ্যমে বাসগুলো নিয়ে যায়। এবিএস পরিবহন এই বাসগুলো চাষাঢ়া-চিটাগাং রোডে চলাচল করতো। নূর হোসেন এই রুটে যাত্রীবাহী বাস আনলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কোনও টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও বিআরটিএর অনুমতি ছাড়াই নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে পরিবহনের টিকেট কাউন্টারও বসিয়েছিল।

এবিএস পরিবহনের বাস

তিনি আরও জানান, ২৪টি বাসের মধ্যে ২২টি বাস নূর হোসেনের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১টি বাস সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও ১টি বাস ফতুল্লায় থানায় রয়েছে। দু’টি বাসের নামে মামলা থাকায় বাস দু’টি বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।

এসআই  শামসুল আলম আরও জানান, প্রতিটি বাসের ইঞ্জিনসহ চেসিস মূল্য ২৪ লাখ টাকা। তারা প্রতিটি বাসের জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা করে দেন। অবশিষ্ট ১৯ লাখ টাকা সঙ্গে বার্ষিক শতকরা ১১ টাকা হারে সুদসহ মোট ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ৪৮টি কিস্তির মাধ্যমে দেওয়ার শর্তে তারা বাসগুলো কিনে। বাসগুলো এবিএস পরিবহন নামে শিমরাইল-চাষাঢ়া রুটে চলাচল করতো। সাত খুনের পর নূর হোসেন পালিয়ে গেলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়কে মহাদুর্ভোগ

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিজয়ের সেঞ্চুরিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
বিজয়ের সেঞ্চুরিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন আবাহনী
যশোরে বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন নির্মাণের আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
যশোরে বার অ্যাসোসিয়েশন ভবন নির্মাণের আশ্বাস আইনমন্ত্রীর
সুন্দরবনে আগুনে ৫ একর এলাকার ক্ষতি
সুন্দরবনে আগুনে ৫ একর এলাকার ক্ষতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ
সর্বাধিক পঠিত
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
অভিযোগের শেষ নেই মাদ্রাসায়, চলছে শুদ্ধি অভিযান
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
কোন পথে এগোচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ?
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
পুলিশ-সাংবাদিক-আইনজীবী স্টিকারের ছড়াছড়ি, ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ
পুলিশ-সাংবাদিক-আইনজীবী স্টিকারের ছড়াছড়ি, ব্যবস্থা নিতে মাঠে নেমেছে পুলিশ