টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে রাতের আঁধারে সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আয়নাল হক মেম্বারের বিরুদ্ধে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানা গেছে, এ পর্যন্ত তিনি উপজেলার তেজপুর থেকে গান্ধিনা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এবং গান্ধিনা থেকে দড়িখরশিলা পর্যন্ত ৬০০ মিটার রাস্তার দু’পাশের গাছ কেটেছেন।
আয়নাল হক উপজেলার নাগবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং ওই ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা এলজিইডির অধীনে নাগবাড়ী ইউনিয়নের তেজপুর থেকে গান্ধিনা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এবং গান্ধিনা থেকে দড়িখরশিলা পর্যন্ত ৬০০ মিটার রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজ চলছে। এই রাস্তার দু’পাশের গাছগুলো রাতের অন্ধকারে আয়নাল হকের নেতৃত্বে সম্প্রতি কেটে ফেলা হয়েছে। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিনা টেন্ডারে গাছ কেটে বিক্রি করলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত পায়নি। আয়নালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ এবং একাধিক মামলা চলছে।
গাছগুলো কেনার কথা স্বীকার করেছেন আব্দুল মালেক মেম্বার। তবে কার কাছ থেকে গাছ কিনেছেন তা জানাননি। বর্তমানে গাছগুলো তার ‘স’ মিলে রয়েছে।
নাগবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাকছুদুর রহমান মিল্টন সিদ্দিকী বলেন, ‘যুবলীগ নেতা আয়নাল হকসহ কয়েকজন ঠিকাদারের সহযোগিতায় গাছ কেটে বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি।’
তবে গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন আয়নাল।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘রাস্তা প্রশস্থকরণের কাজ চলছে। এ সুযোগে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল রাস্তার দু’পাশের গাছগুলো কেটে বিক্রি করেছে। আমরা গাছ কাটা ও বিক্রির কোনও টেন্ডার দেই নাই। গাছ কাটা ও বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের নাম ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’