X
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২

লকডাউনে বাঙ্গি চাষিদের মাথায় হাত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
২১ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৯আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১০:২৯

ফলন বেশি, চাহিদা কম। লকডাউনের কারণে বাজারে লোক সমাগম সীমিত। চাষিদের কাছেও আসছেন না পাইকাররা। কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় হাসি নেই ফরিদপুরের লালমি বাঙ্গি চাষিদের মুখে। তাই জেলার বিভিন্ন স্থানের খেতেই নষ্ট হচ্ছে এই বাঙ্গি।

মহামারি করোনা আর লকডাউনের কারণে চলতি বছর লালমি বাঙ্গির চাষ করে বেশ লোকসানের মুখে পড়েছেন ফরিদপুরের চাষিরা। জেলার ৯ উপজেলার প্রায় স্থানে এর চাষাবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি লালমি বাঙ্গির আবাদ হয় সদরপুরের কৃষ্টপুর ও ভাষানচর ইউনিয়ন এলাকায়। অন্যবারের চেয়ে এ বছর রোজাকে সামনে রেখে অধিক জমিতে চাষিরা বাঙ্গির আবাদ করেছিলেন। ফলন আশাতীত হলেও একেবারে দাম না থাকায় খেতেই নষ্ট হচ্ছে এসব লালমি বাঙ্গি।

স্থানীয় চাষিরা জানান, গতবারও করোনা ছিল কিন্তু বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসেছিলেন। তারা ট্রাকে করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে লালমি বাঙ্গি রপ্তানি করতো। এবছর তাদের দেখা মিলছে না। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীরা আসতেন লালমি বাঙ্গি কিনতে, এবার তাদেরও খোঁজখবর নেই। ক্রেতাশূন্য চাষিরা এবার বেশ লোকসানের মধ্যে পড়বেন বলে হতাশার সুরে জানান তারা।

সদরপুর উপজেলার মটুকচরের চাষি রাজিব বেপারী জানান, এবছর এক বিঘা জমিতে লালমি বাঙ্গি চাষ করতে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। লকডাউনের কারণে এবছর ঢাকা থেকে পাইকার না আশায় লালমি বাঙ্গি বিক্রি করতে পারছি না। কিস্তি তুলে ধার-দেনা করে লালমির আবাদ করলেও খরচ উঠা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি।

কৃষ্টপুর এলাকার চাষি হান্নান মোল্যা জানান, গত বছর প্রকারভেদে একেকটি লালমি বাঙ্গি ৫০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবছর ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ দিয়ে তাদের খরচ উঠানোই মুশকিল হবে বলে জানান তিনি।

বোয়ালমারী উপজেলার গুনবহা এলাকার হারুন হোসেন জানান, এবার ফলন ভালো হলেও পাইকারি ব্যবসায়ীরা না আসায় চাষিদের অবস্থা ভালো না।

ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. হযরত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এবছর জেলায় ২ শত ৭ হেক্টর কৃষি জমিতে বাঙ্গির চাষাবাদ হয়েছে। এবার ফলনও হয়েছে খুব ভালো। সাধারণত কৃষকদের ফসলের ভালো-মন্দের পরামর্শ আমরা দিয়ে থাকি কিন্তু ফসল বাজারজাতকরণে আমাদের কিছু করার নেই।

/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা
এশিয়ান কাপে ওঠার অনুভূতি বলে প্রকাশ করতে পারছেন না ঋতুপর্ণা
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
সরকারের জাতীয় ঐকমত্যের উদ্যোগে বাধা একটি দল: জামায়াত সেক্রেটারি
বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: নাহিদ ইসলাম
বিচার, সংস্কার এবং নতুন সনদের বাস্তবায়নে জনগণই আমাদের একমাত্র শক্তি: নাহিদ ইসলাম
কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে নিজেই অপসারিত শাহীন!
কাবরেরার পদত্যাগ চেয়ে নিজেই অপসারিত শাহীন!
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের দ্বিতীয় সংশোধন উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদন
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
এনবিআর নিয়ে ‘কঠোর’ সরকার, আতঙ্কে শীর্ষ কর্মকর্তারা
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
সচিবালয়ে দখলের দ্বন্দ্ব : আন্দোলনের নেতৃত্বে বিভক্তি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীসা কারখানায় অভিযান, তিন চীনা নাগরিকসহ ৬ জনকে কারাদণ্ড
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা
খেলাপিতে ধসে পড়ছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান: বিপদে আমানতকারীরা