X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
১৮ জুলাই ২০২১, ০২:২৬আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২১, ০২:৩৮

ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে গ্রামে ছুটছে শহরে থাকা মানুষ। দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের উপস্থিতিতে শনিবারও (১৭ জুলাই) মুখরিত মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট।

আজ সকাল থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় যানবাহনে চড়ে যাত্রীরা ঘাটে উপস্থিত হয়ে ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দেন। ফেরিঘাটে যানবাহন আর লঞ্চঘাটে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে ভিড় আরও বাড়তে থাকে।

বিশেষ করে সকাল থেকেই যাত্রীদের গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠতে দেখা যায়। লঞ্চে মানা হচ্ছে না নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি। অর্ধেক যাত্রী ধারণের কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে প্রতিটি লঞ্চ। হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব।

অন্যদিকে গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বাড়ায় যানবাহন পারাপারেও বেগ পেতে হচ্ছে ফেরিগুলোকে। শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। বেলা ১২টার দিকেও ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় ছিলো ছয় শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি ও পণ্যবাহী ট্রাক।

পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ সারি

ঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি ও ৮৩টি লঞ্চ সচল রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক কর্মকর্তা মোসোলেমান জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষের চাপ রয়েছে। নৌরুটে বর্তমানে ৮৩টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।

এসব বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটে বর্তমানে ১৩টি ফেরি সচল রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য যাত্রী ও পণ্যবাহী মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহন পারাপার করা হবে।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল কবির জানান, মানুষের উপচেপড়া ঢল রয়েছে। আমরা সাধ্যমতো নিয়ম মেনে লঞ্চে যাত্রী ওঠানোর চেষ্টা করছি।

/এফআর/
সম্পর্কিত
ঢাকায় দুই দলের সমাবেশ, মুন্সীগঞ্জে সড়ক-মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার
পদ্মা সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ রিকশাচালক তিন মাস পর থানায় হাজির
এক সেতু পাল্টে দিয়েছে চিত্রআদি পেশা ছেড়ে পর্যটন ব্যবসায় নেমেছেন পদ্মা পাড়ের বহু মানুষ
সর্বশেষ খবর
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
রৌমারীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর প্রতিপক্ষের হামলা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
টেকনাফে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
ঝড়ে গাছ ভেঙে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ ছিল এক ঘণ্টা
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
‘স্বাভাবিক পরিবেশে বাঁচতে প্রত্যেককে গাছ রোপণ করতে হবে’
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস