নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো উদ্ধার অভিযান চলছে। এতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দলের সদস্যরা।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন শিশুসহ ৯ জন। এখন পর্যন্ত জীবিত বা মৃত কাউকে উদ্ধারের তথ্য পাওয়া যায়নি। সন্ধান মেলেনি ট্রলারটিরও।
লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন শিশুসহ ৯ জন। নদীর তীরে নিখোঁজদের স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। বার বার আহাজারি করে প্রিয় মানুষটিকে ফিরে পেতে চাচ্ছেন তারা। ভোর থেকে নদীর তীরে অসংখ্য মানুষ ভিড় জমান। তাদের মধ্যে কারো সন্তান, কারো ভাই এবং নিজের সহকর্মীর সন্ধানে অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আলম হোসেন জানান, কুয়াশার কারণে উদ্ধার অভিযানে বিঘ্ন ঘটছে। নদীতে কয়েকটি ভাগে উদ্ধার অভিযান চলছে। নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। এখনও ডুবে যাওয়া ট্রলার ও কোনও মরদেহ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মা ও তিন সন্তান নিখোঁজ, নদী পাড়ে স্বজনদের আহাজারি
এদিকে, ট্রলারডুবির কারণ অনুসন্ধানে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতাকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসানসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদেরকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আগামী রবিবার তাদের রিমান্ড শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় ধলেশ্বরীতে এমভি ফারহান-৬ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটির ধাক্কায় অন্তত ৩০ যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন ৯ জন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পায়নি।
বুধবার রাতে নৌ নিরাপত্তা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বাবু লাল বৈদ্য বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। আসামিরা হলো-এমভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, চালক মো. জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানি মো. জসিম মোল্লা।