নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি কারও পায়ে ভর করে চলি না। আমি একাই চলতে পারি। এমপি শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের প্রার্থী হয়ে আমাকে নির্বাচনে লড়তে হবে না। গত ৫০ বছরে রাজনীতি করতে গিয়ে তৈমুরের ভিত অনেক শক্ত ও মজবুত হয়েছে।
রবিবার (০৯ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদার এলাকার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। শনিবার (০৮ জানুয়ারি) বন্দরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায় গণসংযোগের সময় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘তৈমুর আলম এমপি শামীম ওসমানের প্রার্থী।’ তার এই বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তৈমুর আলম খন্দকার।
আরও পড়ুন: তৈমুর বলছেন আমি জনগণের প্রার্থী, আইভী বললেন শামীম ওসমানের
সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর আলম বলেন, নৌকা প্রার্থী ১৮ বছর ধরে মেয়রের দায়িত্বে আছেন। তিনি জনগণকে দুর্ভোগ ছাড়া কিছুই দিতে পারেননি।
নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তৈমুর আলম বলেন, সরকারদলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্র কাজ করছে। তিনি শুরু থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নির্বাচনি আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন। পদত্যাগী হওয়া সত্ত্বেও দেহরক্ষী, পিএস ও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন।
‘হাতি প্রতীকের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে’ উল্লেখ করে তৈমুর আলম বলেন, গণজোয়ার দেখে আমার কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে জয়ী হবে বলে সরকারি দলের মুখপাত্ররা ঘোষণা দিচ্ছেন। যা নির্বাচন কমিশন ও ভোটারদের প্রভাবিত করার সামিল। মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী তার দলের এমপি, জাপার এমপিসহ নেতাকর্মীদের জড়িয়ে শিষ্টাচারবহির্ভূত মন্তব্য করেছন। সরকারি দলের প্রার্থীর অবস্থান এতটাই নড়বড়ে হয়ে গেছে যে, পুলিশ প্রশাসনের লোক দিয়ে ভয়ভীতি ও দলীয় নেতাদের মাঠে নামাতে হচ্ছে।
আমার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় নামায় জাপা নেতাদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়েছে। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমার সমর্থক নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নেতাদের পুলিশ ও গোয়েন্দাদের দিয়ে হয়রানি এবং ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তবে আমি মেয়র নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনকে সিন্ডিকেটমুক্ত করবো। জনবান্ধন নগরী গড়ে তুলবো।
প্রশাসনের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তেমুর আলম বলেন, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকবে হবে। প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে সিটি নির্বাচন কলুষিত হলে প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্যের নেতা সাবেক এমপি এস এম আকরাম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, জামাল উদ্দিন কালু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল হোসেন ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল।