গাজীপুরে স্ত্রী হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী রফিকুল ইসলামকে (৪১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি নেত্রকোনা সদরের রৌহা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপ-কমিশনার জাকির হাসান বিষিয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মমতাজ খাতুন ওরফে মিতা (৩৩) রাজশাহীর বাঘমারা উপজেলার নকপাড়া গামের আব্দুল মোতালেব হোসেনের মেয়ে। সে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ইটাহাটা এলাকায় ভাড়া থেকে ভোগড়া এলাকার স্থানীয় জিম অ্যান্ড জেসি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
তার স্বামী রফিকুল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা আমতলী এলাকায় ভাড়া থেকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। সোমবার (৭ মার্চ) রাতে পুলিশ নেত্রকোনা থেকে মিতার স্বামীকে গ্রেফতার করে।
মহানগর পুলিশ কর্মকর্তা জাকির হাসান জানান, রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে স্বামী রফিকুল ইসলাম জেলার শ্রীপুরের মাওনা আমতলী থেকে গাজীপুর মহানগরের স্ত্রীর ইটাহাটার ভাড়া বাসায় যান। বাসায় পৌঁছার কিছুক্ষণ পর স্বামী রফিকুল ইসলাম ঘর থেকে চলে যান। স্বামী চলে যাওয়ার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক ফোন পেয়ে বাড়ির মালিক মিতার খোঁজ নিতে তার কক্ষের সামনে গেলে বাইরে থেকে তার বসতঘরের দরজা আটকানো দেখতে পান। পরে দরজা খুলে ঘরের মেঝেতে ওই নারীর নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ ওইদিন রাত ৯টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করে। সিআইডি ও পিবিআই পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে ক্রাইমসিন সংরক্ষণ ও মৃতের পরিচয় নিশ্চিত করে। পরে মিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পরদিন সোমবার (৭ মার্চ) নিহতের মামা আব্দুল জলিল বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নেত্রকোনা থেকে মিতার স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার হুমকি এবং দাম্পত্য কলহের কারণেই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে দূরত্ব চলছিল। ঘটনার দিন স্ত্রীর ভাড়া বাসায় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে রফিকুল স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নেত্রকোনার গ্রামের বাড়ি চলে যায়। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানায় স্বামী রফিকুল। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।