গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ জুলাই) রাতে তাকে কোনাবাড়ী থানা থেকে প্রত্যাহার করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয়। কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সিদ্দিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ীর (রাজাবাড়ি) রুবেল ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে এক যুবককে (২৮) আটক করেন এসআই লুৎফর। ওই যুবকের কাছ থেকে দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। পরে থানায় নেওয়ার জন্য তাকে লেগুনায় তোলেন। দুই লাখ টাকা দাবি করে যুবককে ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেন এসআই লুৎফর। এত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ওই যুবক ৫০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। পরে এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা এবং এসআইয়ের সোর্সের মাধ্যমে বিকাশে ১৩ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। সঙ্গে থাকা ছয় হাজার টাকাসহ মোট ৪৯ হাজার টাকা দিলে এসআই লুৎফর তাকে বিকালে ছেড়ে দেন। বাইমাইল গ্লোবাল মার্চেন্ডাইজ পোশাক কারখানার পাশে দাঁড়িয়ে এসব টাকা লেনদেন করা হয়। এ ঘটনার পরই এসআই লুৎফরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে সদর থানায় থাকা অবস্থায় ৩০ এপ্রিল দক্ষিণ সালনা এলাকার রিপন (৩১) নামে এক যুবককে আটক করেন। পরে হেরোইন দিয়ে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ২৭ হাজার টাকা আদায় করেন বলে এসআই লুৎফরের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ওই সময় তাকে সদর থানা থেকে কোনাবাড়ী থানায় বদলি করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে এসআই লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কী কারণে প্রত্যাহার করা হয়েছে জানি না।’