X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৫ দিন সংসার করে ফিরে যান মালয়েশিয়ান তরুণী, হতাশ মনিরুল 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২৫ জুলাই ২০২২, ১৯:১০আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২২, ১৯:৪৭

প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখিপুরে এসেছিলেন মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিস। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ওই তরুণী বাংলাদেশে আসেন। পরে টাঙ্গাইলের মনিরুলকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারের সময় ছিল মাত্র ১৫ দিন। এরপর নিজ দেশে ফিরে যান ওই তরুণী। ওই ১৫ দিনে মনিরুলের পরিবার তার পেছনে ৮০ হাজারের বেশি টাকা খরচ করে। সেই দেনা এখনও টানছেন এবং এই বিয়ের মধ্য দিয়ে ছেলের জীবন নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন মনিরুলের বাবা ইমান আলী। মনিরুল ইসলামের (২৬) বাড়ি সখিপুরের কাদেরনগর মুজিব কলেজ মোড় এলাকায়।  

সম্প্রতি মনিরুলের গ্রামের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা জানান, মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের সঙ্গে ফেসবুকে মনিরুলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখিপুরে চলে আসেন। এরপর কোর্ট ম্যারেজ করে সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। হঠাৎ মালয়েশিয়া থেকে খবর আসে ওই তরুণীর স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। এরপর ওই যুবক তরুণীকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ওই তরুণী নিজ দেশে ফিরে যান।

মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ফেসবুকে জুলিজার সঙ্গে পরিচয় হয়। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। প্রায় ছয় মাসের সম্পর্কের পর জুলিজা আমার কাছে চলে আসে। পরে কোর্ট ম্যারেজসহ সামাজিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয়। তার ভিসার মেয়াদ ১৭ দিন ছিল। আমরা ১৫ দিন একত্রে ছিলাম।’

জুলিজা ফিরে যাওয়ার পর থেকে হতাশ মনিরুল। তিনি বলেন, ‘এখন স্ত্রী হিসেবে নয়, ভালো বন্ধু হিসেবে তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। শুনেছি তার স্বামী ও চার সন্তান রয়েছে। কিন্তু সে তার স্বামীকে ছেড়ে পৃথক রয়েছে বলে জেনেছি।’

এদিকে মালয়েশিয়ান তরুণীকে বিয়ে করে ছেলের জীবন নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন মনিরুলের বাবা ইমান আলী। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি হয়তো কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিল। আমার ছেলের জীবনটা নষ্ট করে দিয়ে ওই মেয়ে চলে গেছে। এখন ছেলেকে বিয়েও করাতে পারছি না। আমার ছেলে ওই সময় কলেজে পড়তো। এখন পড়াশোনা বাদ দিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে। ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। ওই মেয়ের পেছনে ১৭ দিনে আমার প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনও সেই ঋণের বোঝা টানছি। নিজেদের থাকার জায়গাটুকুও নেই। অন্যের বাড়িতে ঘর ভাড়া করে থাকি। আমাদের কষ্টের জীবন। মেয়েটি আমাদের সম্মানহানি ও অনেক ক্ষতি করে চলে গেছে।’

/টিটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী