টাঙ্গাইলে বেড়াতে নেওয়ার কথা বলে এক কলেজছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. আতিক নামে (২৬) এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতার আতিক সদর উপজেলার দুলুটিয়া গ্রামের আকবর মিয়ার ছেলে। সে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে এ ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় আতিকসহ চার জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত তিন-চার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা। এর আগে সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর স্কুল মাঠ থেকে ওই ছাত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে কলেজছাত্রীর সঙ্গে আতিকের বন্ধুত্ব হয়। গত (২৫ জুলাই) সোমবার দুপুরে অটোরিকশাযোগে কলেজছাত্রীকে করটিয়া থেকে সদর উপজেলার গোসাই জোয়াইর এলাকায় বেড়াতে যায় আতিক। সন্ধ্যায় গোসাই জোয়াইর স্কুল মাঠের পাশে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আতিক ও তার তিন-চার জন বন্ধু। রাতে ওই ছাত্রীকে আবারও ওই এলাকার নদীর পাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে ছাত্রীকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রীর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নেয়।
এদিকে, বিষয়টি ভিন্ন খাতে নিতে আতিক নিজেকে দুর্বৃত্তদের কাছে জিম্মি হওয়ার নাটক সাজানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই ওই গ্রামের জাকির, শওকত আলী ও আব্দুল খালেক মন্ডলকে আটক করে পুলিশ।
তবে ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে পুলিশ ওই তিন ব্যক্তিকে ছেড়ে দিয়েছে। এছাড়া আতিকের ওপর সব দোষ চাপিয়ে তার সঙ্গে ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে করটিয়া থেকে গোসাই জোয়াইর এলাকায় নিয়ে যায় আতিক। সেখানে নিয়ে আতিকসহ তার বন্ধুরা ওই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে থানায় আনা হয়েছিল। ঘটনায় সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে টাকার বিনিময়ে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ওই ছাত্রী বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
