পৌষের তৃতীয় দিন আজ। সারাদেশে দেশের তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ঘন কুয়াশা। মধ্যরাত থেকে সকাল ৯টা-১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢেকে থাকছে চারপাশ। সামনে কয়েক হাত দূরের জিনিসও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মাদারীপুরের বিভিন্ন চরাঞ্চলের দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষ। কোনোরকমে শীত থেকে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছেন তারা। কেউ খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের পাশে বসে শীত নিবারণ করছেন।
শনিবার মধ্যরাত থেকে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। বৃষ্টির ফোটার মতো টপটপ করে শিশির ঝরছে। গত কয়েকদিন ধরে হাড় কাপানো শীতের মাঝে ঘন কুয়াশায় সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারেছেন না। সামান্য দূরত্বেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। ফলে সকাল থেকেই জেলার সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে। কিছু যান আবার হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে।
কুয়াশার কারণে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করছে। ভোর থেকে দূরপাল্লার যানবাহন তেমন দেখা যায়নি মহাসড়কে। এছাড়া আঞ্চলিক সড়কগুলোতে ছোট যানবাহনকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।
শিবচরের চরাঞ্চলখ্যাত চরজানাজাত এলাকার কৃষক মফিজ ঢালী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে যেমন শীত, তেমন কুয়াশা। কুয়াশার কারণে বাড়ি থেকে বের হবে বেলা ১১টা-১২টা বেজে যায়। এতে আমাদের উপার্জনও কমে গেছে।’
শিবচর থেকে পাচ্চরগামী অটোরিকশাচালক মুজাহিদ বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে রাস্তায় এসে অপেক্ষা করছি। হেডলাইট জ্বালিয়েও কাজ হচ্ছে না। এখন সকাল ১০টা বাজে, মাত্র একটি ট্রিপ মারতে পারলাম।কয়েকদিন ধরে প্রতিদিন কুয়াশা পড়ছে। এতে আমাদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে।’
শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এক্সপ্রেসওয়ে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে। সকাল থেকে তেমন যানবাহন চলতে দেখা যায়নি। এক্সপ্রেসওয়েতে সামান্য দূরত্বেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। সকাল ১০টার দিকে কুয়াশা কমে আসায় যানবাহনের চলাচল বাড়তে থাকে।
শিবচর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকী জানান, সকাল থেকে নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে আমাদের টিম মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে। কুয়াশার কারণে তেমন যানবাহন সড়কে নেই। ধীর গতিতে যান চলাচল করছে।