নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, মাথায় কাফনের কাপড় পরে নামবো। আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি। কী করবো আমরা ঠিক করে নেবো। ওই দিন ওরা মাঠে জনসভা করুক আপত্তি নাই। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কিছু করতে যাবে তাহলে নারায়ণগঞ্জ ইজ এনাফ টু প্রটেক্ট দেম।’
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিকfলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র টার্গেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ টার্গেট না। টার্গেট একটাই শুধু শেখ হাসিনা। তাকে টলাতে পারছে না কারণ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার একটা তফাত আছে। বঙ্গবন্ধু সবাইকে বিশ্বাস করতেন, জীবন দিয়ে তাকে তার মূল্য দিতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী এই জায়গা থেকে শিক্ষা পেয়েছেন, তিনি বিশ্বাসঘাতকদের চিনে নিয়েছেন।’
জামায়াতের দ্বারা বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘দেশে এখনও জামায়াত কথা বলে বিএনপির কারণে। বিএনপির দ্বারা জামায়াত নয়, বরং জামায়াতের দ্বারা বিএনপি পরিচালিত হচ্ছে। লন্ডনে বসে আছে খুনি তারেক রহমান, তাকে পরিচালনা করছে জামায়াতে ইসলাম। কারণ, জানে নির্বাচন হলে তারা ফেল করবে। তারা কোনও অবস্থাতেই বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেবে না। এটা তাদের পরিকল্পনা। ওরা চায় দেশে একটা অরাজকতা সৃষ্টি করতে। এর পেছনে পৃথিবীর অনেক বড় বড় শক্তি কাজ করছে। ওরা বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এসব করছে না।’
প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে আপসহীন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি পার্লামেন্টে বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আপনি বললেও আমি শুনবো না। শেখ হাসিনা আপনার-আমার বাচ্চার ভবিষ্যৎ। নারায়ণগঞ্জে ওরা নেত্রীকে নিয়ে তার পিতাকে নিয়ে গালি দেয়। ওদের এমন স্লোগানের পর আমরা একটা জনসভা ডেকেছিলাম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন সেদিন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমরা জনসভা করেছিলাম।’
ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমাদের ত্যাগী লোকদের মূল্যায়ন করা দরকার। খন্দকার মোশতাক আহমেদ চাই না। বঙ্গবন্ধুর পিতার মৃত্যুর পর মোশতাক কবরে নেমে এমন কান্না করেছিলেন যে বঙ্গবন্ধু নিজে কান্না থামিয়ে তাকে উঠিয়েছিল। এরা অনেক নাটকবাজ হয়। আড়াইহাজার, রূপগঞ্জে ট্রান্সপোর্টের একটু সমস্যা হতে পারে। নভেম্বরের ৪ তারিখ যাতে ট্রেনের ব্যবস্থা করা যায়, করবেন। আমরা ট্রেনে করে ঢাকা যাবো। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বগি লাগিয়ে দেবেন। আমরা সিদ্ধিরগঞ্জের লোকদেরও সঙ্গে নিয়ে ট্রেনে যাবো। দরকার হলে স্পেশাল ট্রেনও এখানে থাকবে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদলের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। আরও উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা প্রমুখ।