X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিলেন তদন্ত কর্মকর্তা

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১৬:১৫

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।

সাক্ষ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা হলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম। তিনি তৃতীয়বারের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর এসএম শফিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষীদের সবাই বলেছেন, ওই ঘটনার দিন মামুনুল হক ও মামলার বাদী একই কক্ষে প্রায় ৫ ঘণ্টা অবস্থান করেন। একজন নারী ও পুরুষ এত সময় এক কক্ষে কী করেন। এই ঘটনার পরে মামুনুল হক তার স্ত্রীকে ফোনে জানায়, ওই নারী (মামলার বাদী) তার বন্ধু শহীদুলের স্ত্রী, তার স্ত্রী না। তাহলে একটা হোটেলে তারা ৫ ঘণ্টা কেন অবস্থান করলো? আমার দৃষ্টিতে মামুনুল হকের সর্বোচ্চ সাজা হবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। এটা একটা মিথ্যা মামলা।’

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সকালে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আজ ২৬ নম্বর সাক্ষী ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তাকে (মামুনুল হক) আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝরনাসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলাম ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেফতার করে। রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝরনা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত।

/কেএইচটি/
সম্পর্কিত
বিডি নিউজের প্রধান সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে, চার্জশিট দাখিল
কোটালীপাড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কেন ধর্ষণের মতো অপরাধে জড়াচ্ছে কিশোররা?
সর্বশেষ খবর
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে আদালতে তলব
জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে আদালতে তলব
ম্যানসিটিকে আরও পেছনে ফেললো আর্সেনাল
ম্যানসিটিকে আরও পেছনে ফেললো আর্সেনাল
পাকিস্তানে বৃষ্টিতে নিহত ২২
পাকিস্তানে বৃষ্টিতে নিহত ২২
পাকিস্তানে বৃষ্টিতে নিহত ২২
পাকিস্তানে বৃষ্টিতে নিহত ২২
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে