গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর বিভাজকে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অপর বন্ধু। সোমবার (১৭ জুন) ভোর পৌনে ৪টায় বিআরটি প্রকল্পের উড়াল সড়কের বিভাজকে (টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের সামনে) ধাক্কা লেগে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী পশ্চিম থানার খরতৈইল এলাকার দুলাল সরদারের ছেলে দেলোয়ার এবং তার বন্ধু রাকিব। রাকিবের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। আহত নাজিম একই এলাকার নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল আমিন জানান, ভোররাত পৌনে ৪টার দিকে তিন বন্ধু একটি মোটরসাইকেলে বিআরটির উড়ালসেতুর ওপর দিয়ে (উল্টো পথে) টঙ্গীর দিকে যাচ্ছিল। টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের সামনে (উড়াল সড়কের ওপর বিভাজকে) তাদের মোটরসাইকেলকে একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি সড়কের বিভাজকে ধাক্কা লাগলে পড়ে গিয়ে তিন বন্ধু গুরুতর আহত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথে দেলোয়ার ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাকিবের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত নাজিমকে সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্প ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘টঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দেলোয়ার ও রাকিবের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’