X
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
১৭ বৈশাখ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে সাত মাসে কয়েকটি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে 

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
০৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৫

নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে গত সাত মাসে আন্দোলনসহ নানা কারণে কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে। এতে হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। কারখানাগুলো বন্ধের জন্য রাজনৈতিক পরিবর্তন ও মালিকপক্ষকে দুষছেন শ্রমিকনেতারা।

শ্রমিকনেতা, শিল্প পুলিশসহ একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের পর বন্ধ হওয়া কারখানার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে ২০টি মতো। এসব শিল্পকারখানার প্রায় ছয় হাজার শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারিয়েছেন। বেকার শ্রমিকরা কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া পাওনার দাবিতে সড়কে আন্দোলন করছেন। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত সাত মাসে গ্রিন বাংলা হোম টেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, এশিয়ান ফ্যালকন গার্মেন্টস, জিএল ফ্যাশন, মাস্টার টেক্সটাইল, ওয়েস্ট বেস্ট অ্যাটায়ার্স, স্টার কাটিং অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ফতুল্লা ফ্যাশন, মাস্টার গার্মেন্টসসহ ২৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সব কারখানাই ছোট ও মাঝারি। আর্থিক সংকট ও পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশের অভাবে কারখানা বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এম এ শাহীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত সাত মাসে নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লা ফ্যাশন, মাস্টার গার্মেন্টসসহ ১০টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। এতে প্রায় চার-পাঁচ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন। এ ছাড়া এনা গ্রুপের কারখানায় শতাধিক শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন। 

কারখানা বন্ধের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত জুলাইয়ের আন্দোলনের ফলে বড় বড় গার্মেন্টসগুলোতে কাজ কম ওপেন হয়েছে। কাজের অর্ডার কমে যায়। ফলে ছোট কারখানাগুলো যেগুলো সাব-কন্ট্রাকে কাজ করতো তারা কাজ পাচ্ছিল না। এরমধ্যে কিছু আওয়ামী লীগপন্থি মালিক রয়েছেন, তারা ঠিকঠাকভাবে কারখানা চালাতে পারছেন না। আবার অনেক মালিক পালিয়ে রয়েছেন। কুতুবপুরের নয়ামাটি এলাকার আইএফএস গার্মেন্টসের মালিক নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা শাহ নিজামের বন্ধু হওয়ার ফলে তিনি বন্ধ করে দেন। ইউরিটেক্স গার্মেন্টসের মালিকও আওয়ামী লীগপন্থি।

তিনি আরও বলেন, আবার অনেক মালিক পরিকল্পিতভাবে শ্রমিকদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। প্রথমে তারা শ্রমিকদের বেতন আটকে দেয়। এতে শ্রমিকরা আন্দোলন করলে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। এমন ঘটনা অহরহ হচ্ছে। ফলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে গার্মেন্টস মালিকরা পরিকল্পিতভাবে এসব করে কারখানা বন্ধ করে দিচ্ছেন। তবে আমরা চাই কারখানা টিকে থাকুক। কারণ কারখানা না থাকলে শ্রমিক থাকবে না। গার্মেন্টস শিল্পও থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, কারখানা বন্ধ হয়েছে, অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। এসব বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা জোগাড় করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। প্রায় সবগুলো কারখানার শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ বাকি আছে। তবে এসব বেকার হওয়া শ্রমিকদের অনেকে চাকরি ফিরে পাচ্ছেন, কেউ আবার গ্রামে চলে যাচ্ছেন।

/এএম/এস/
সম্পর্কিত
সরকারের প্রচেষ্টা হলো শ্রমিক অধিকার সমুন্নত রাখা: শ্রম উপদেষ্টা
শ্রমিক নেতা সেলিম মাহমুদসহ গ্রেফতার শ্রমিকদের মুক্তির দাবি
রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতদের ক্ষতিপূরণ দাবি
সর্বশেষ খবর
আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে খুব বেশি খুশি হননি শান্ত
চট্টগ্রাম টেস্ট জিতে খুব বেশি খুশি হননি শান্ত
লবণ দিয়ে এই কাজগুলোও করা যায়
লবণ দিয়ে এই কাজগুলোও করা যায়
মে মাসের শেষের দিকে আসছে নতুন নোট
মে মাসের শেষের দিকে আসছে নতুন নোট
সর্বাধিক পঠিত
দুই মামলায় আসামিপক্ষে কুমিল্লা আদালতে কোনও আইনজীবীকে না দাঁড়ানোর নির্দেশ
দুই মামলায় আসামিপক্ষে কুমিল্লা আদালতে কোনও আইনজীবীকে না দাঁড়ানোর নির্দেশ
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ছাত্রী কুড়িল থেকে উদ্ধার
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ছাত্রী কুড়িল থেকে উদ্ধার
উদ্ধার মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করতে বিস্ফোরণে কাঁপলো গোটা গ্রাম, অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
উদ্ধার মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করতে বিস্ফোরণে কাঁপলো গোটা গ্রাম, অর্ধশত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত
বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার
বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তার হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ ছাত্রদল নেতার
প্যারোলে মুক্তি চান দীপু মনি
প্যারোলে মুক্তি চান দীপু মনি