X
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
১৮ আষাঢ় ১৪৩২

ফারুক আহমেদের খুনিরা কে কোথায়

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন, টাঙ্গাইল
০৭ এপ্রিল ২০১৬, ১৪:৫৭আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:১৭

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে চারজনকে আটক করা হলেও অবশিষ্ট ১০ জন থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা পুলিশ অব্যাহত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফিজুর রহমান।

অভিযুক্ত এমপি রানা ও তার তিন ভাই   

এদিকে বুধবার টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ অভিযুক্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুপুরে সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত টাঙ্গাইল সদরের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম চার্জশিট গ্রহণের শুনানি শেষে তিনি এ দশ জনের বিরুদ্ধে এ পরোয়ানা জারি করেন।

আসামিদের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানেন কিনা জানতে চাইলে মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘খান পরিবারের চার ভাইয়ের মধ্যে কাঁকন ও বাপ্পা দেশের বাইরে রয়েছেন। একজন থাইল্যান্ড ও একজন মালয়েশিয়া রয়েছে শুনেছি। আর দেশে আছে দুইজন। দেশে যে দুইজন আছেন, তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। সেইসঙ্গে দেশের বাইরে যে দুইজন রয়েছেন তাদেরকে আইনগত ভাবে দেশে আনার ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানাই।’

এ নিয়ে কথা হয় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলামের সঙ্গে। খান পরিবারের সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। তবে শুনেছি দেশের বাইরে খান পরিবারের দুই ভাই অবস্থান করছেন। আমরা আশা করেছিলাম এরই মধ্যে অন্তত একজন প্রধান আসামি হলেও গ্রেফতার হবেন। তার ওপর চার্জশিট যেহেতু হয়েছে, আজ হোক কাল হোক কাঠগড়ায় তাদের দাড়াতেই হবে। শাস্তি তাদের অবশ্যই হবে।’

টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ফারুক হত্যাকাণ্ডএর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হিসেবে অপর দুই ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে এই চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ার নিজ বাসার সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফারুক আহমেদের লাশ উদ্ধার হয়।

/এইচকে/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
পাভেলের বস অপি করিম!
পাভেলের বস অপি করিম!
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
বরখাস্ত হলেন সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাবাসসুম ঊর্মি
ঋতুপর্ণা ইউ বিউটি!
ঋতুপর্ণা ইউ বিউটি!
গাজায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলো হামাস
গাজায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলো হামাস
সর্বাধিক পঠিত
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
অবশেষে রিজার্ভে আইএমএফের লক্ষ্য পূরণ হলো
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
যারা ফেসবুক লাল করেছিল, তাদের জীবন লাল করে দেবে আ.লীগ: পার্থ
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ইলিশের দাম নির্ধারণের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন
ক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
ঢাকা সিটি কলেজক্যাম্পাসে নতুন সভাপতির প্রবেশ ঠেকাতে দুদিন পাঠদান বন্ধ!
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি
পরীক্ষার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, তদন্তে কমিটি