X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

এমপি আনার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামির কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৪১আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৩:৪১

ঝিনাইদহ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি আবু সাঈদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ভোর রাতে আবু সাঈদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ একটি বিদেশি পিস্তল,একটি ম্যাগজিন ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

কালীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই  ইমরান আলম জানান, আবু সাঈদকে গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। জেলগেটের জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে এমপি আনার হত্যা প্রচেষ্টার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক মালিয়াট ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এমপি আনার হত্যা চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন। আজিজুর রহমান খান ভারতে পালিয়ে যাবার সময় পুলিশ পুটখালী বর্ডার থেকে ২ হাজার ভারতীয় রুপি ও একটি মোবাইল সিমসহ তাকে ২০ নভেম্বর গ্রেফতার করে। পরে তাকে এমপি আনার হত্যা প্রচেষ্টাকারীদের মধ্যে অন্যতম মূল পরিকল্পনাকারী ও সন্ত্রাসীদের অর্থ যোগানদাতা দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

তার দেওয়া তথ্য মতে, আসামি আবু সাঈদকে রিমান্ডে আনার জন্য পুনরায় আদালতে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ নভেম্বর সাঈদের আইনজীবী রিমান্ডের বিরুদ্ধে রিভিশন করলে আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান তাদের দাবি খারিজ করে রিমান্ড বহাল রাখেন এবং একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান মামলার তদন্তকারী এ পুলিশ কর্মকর্তা।

৪ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি আবু সাঈদকে রিমান্ডের জন্য কালীগঞ্জ থানায় আনা হয়। রাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার দেখিয়ে দেওয়া স্থান কচাতলা বাজারস্থ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পেছন থেকে সোমবার ভোর রাতে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর দিবাগত রাতে ১৫ লাখ টাকার চুক্তিতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার চেষ্টা করে আট দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় এমপি আনারের পিএস আব্দুর রউফ বাদী হয়ে ২ নভেম্বর কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও তিনজনসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়।

মামলায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় নিয়ামতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদকে। তার স্বীকারোক্তিতে গ্রেফতার করা হয় হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসের কর্মচারী (সার্ভেয়ার সহকারী) কওছার আলীকে। তাদের দেওয়া জবানবন্দীতে গ্রেফতার করা হয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান খানকে। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান অদুকে।

আরও পড়ুন:
রাজাকার ইদ্রিস আলীর ফাঁসির আদেশ

/বিটি/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ একদিনে গ্রেফতার ২৪
রাজধানীতে মাদকদ্রব্যসহ একদিনে গ্রেফতার ২৪
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ ভবন ধস, আটকা পড়েছে অনেকে
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভয়াবহ ভবন ধস, আটকা পড়েছে অনেকে
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার
বাংলাদেশের কৃষির পরিবর্তনে বৈশ্বিক অংশীদারত্বের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
মিল্টনের আশ্রমের দায়িত্ব যার হাতে গেলো
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
চাসিভ ইয়ার ঘিরে হাজার হাজার সেনা জড়ো করছে রাশিয়া
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যে শিশুকে পাচারের অভিযোগে মিল্টনের বিরুদ্ধে মামলা
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
যেভাবে অপহরণকারীদের কাছ থেকে পালিয়ে এলো স্কুলছাত্র
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
আজও ঝোড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস