X
শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
২১ বৈশাখ ১৪৩১

‘পারিবারিক দ্বন্দ্বে’ বাবা ও ভাইয়ের পর খুন হলেন মিঠু

খুলনা প্রতিনিধি
২৬ মে ২০১৭, ০৮:২৭আপডেট : ২৬ মে ২০১৭, ০৮:৪০

বিএনপি নেতা মিঠু খুলনার ফুলতলা উপজেলার ‘সরদার বাড়িতে’ এখন শোকের মাতম। গত ১৯ বছরে এ পরিবারের তিনজন সদস্য দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত হয়েছেন। বাবা ও ভাইয়ের পর খুন হন সরদার আলাউদ্দিন মিঠু (৪৫)। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাতে ১০টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খুলনা জেলা পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

১৯৯৮ সালে মিঠুর বাবা সরদার আবুল কাসেমকে হত্যা করা হয়। এরপর ২০১০ সালে এ পরিবারের আরেক সদস্য মিঠুর বড় ভাই সরদার আবু সাইদ বাদলকেও হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ধারাবাহিক হত্যার সর্বশেষ শিকার হন মিঠু। আবুল কাসেম ও আবু সাইদ উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভাইদের মধ্যে দুই সন্তানের জনক মিঠু ছিলেন মেঝ। তার আরও দুই ভাই রয়েছে। তাদের নাম সেলিম সরদার এবং রাজ সরদার। তার ছেলে জুবায়ের সরদার সামি (১৩) ৮ম শ্রেণির ছাত্র এবং মেয়ে উম্মে ফাতেমা সিমি (১১) ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাতে মিঠু ফুলতলার নতুন হাটের নিজ অফিস মিঠু এন্টারপ্রাইজে বসে শ্রমিকদের মজুরি প্রদান করছিলেন। এ সময় দু’টি মোটরসাইকেলে পাঁচজন সন্ত্রাসী সেখানে প্রবেশ করে। তারা মিঠুকে উপর্যুপরি গুলি করে। মিঠু মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হামলায় দুই দেহরক্ষী নওশের গাজী (৪২) ও সিরাজুল ইসলাম (৪৫) এবং মিঠুর শ্বশুর সৈয়দ সেলিমও আহত হন। গুলিবিদ্ধ নওশেরকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত ১২টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেলিম স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ ও সিআইডির টিম দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ফুলতলার ‘সরদার’ এবং ‘ভুঁইয়া’ পরিবারের মধ্যে কয়েকযুগ ধরে বিবাদ চলে আসছে। সরদার পরিবারের আবুল কাশেম এবং বাদল হত্যাকাণ্ডের পর ঘুরে ফিরে ভুঁইয়া পরিবারের নাম আলোচনায় এসেছে। সর্বশেষ দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শিপলু ভুঁইয়া এ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম হত্যা মামলায় ৩২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। এ হত্যা মামলায় শিপলু ভুঁইয়া ১১ বছর কারাভোগ করে। শিপলু ভুঁইয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা বলে পরিচিত শিমুল ভুঁইয়ার ছোট ভাই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে মিঠুকে হত্যা করার জন্য একাধিক হামলা হয়েছে। পুলিশ তার নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি।’

/এসএ/আপ-এআর/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
তীব্র গরমে বেড়েছে রিকন্ডিশন্ড এসির চাহিদা
তীব্র গরমে বেড়েছে রিকন্ডিশন্ড এসির চাহিদা
ইউক্রেনের খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় আহত ৩
ইউক্রেনের খারকিভে রুশ ড্রোন হামলায় আহত ৩
চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থক ও জেলেদের সংঘর্ষ
চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থক ও জেলেদের সংঘর্ষ
সর্বাধিক পঠিত
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
যশোরে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
২৫ জেলার সব মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা শনিবার বন্ধ
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
কেমন থাকবে আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়া?
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, বগি লাইনচ্যুত