X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

মধুমতি নদীর পানি রূপসার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে, জুনের শেষে খুলনায় সরবরাহ

খুলনা প্রতিনিধি
১৫ জুন ২০১৯, ১৬:০২আপডেট : ১৫ জুন ২০১৯, ১৬:০৩

রূপসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে। খুলনা মহানগরীতে সুপেয় পানির সংকট নিরসনে বাস্তবায়ন হতে চলেছে বহুল প্রতীক্ষিত সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প। এরই মধ্যে বাগেরহাটের মোল্লাহাট সংলগ্ন এলাকার মধুমতি নদী থেকে ৩৩ কিলোমিটার পাইপলাইনে পানি আনা হয়েছে খুলনার রূপসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে। এখানে পানি পরিশোধনের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক কাজের পর চলতি জুনের শেষেই পরীক্ষামূলকভাবে খুলনা শহরে সরবরাহ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিশুদ্ধ পানি পাবেন মহানগরীর ১৫ লাখ মানুষ। আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা ওয়াসা এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ জানান, ‘প্রকল্পের আওতায় শহরে ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে রিজার্ভার ও ওভার হেড ট্যাংক। বর্তমানে রূপসায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টে পাইপলাইনে আনা মধুমতি নদীর পানি বিশেষ প্রক্রিয়ায় পরিশোধন করা হচ্ছে। এই শোধনাগার থেকে রূপসা নদীর তলদেশ হয়ে খুলনা শহরের ৭টি রিজার্ভারে পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে প্রতিদিন গড়ে ১১ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা যাবে।’

জানা যায়, ট্রিটমেন্ট প্লান্টে কয়েক স্তরে ফিল্টারের মাধ্যমে নদীর পানি পরিশোধন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রিজার্ভার থেকে চারটি পাম্পের সাহায্যে মানসম্পন্ন পানি খুলনা শহরে সরবরাহ করা হবে। ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে রূপসা নদীর তলদেশ হয়ে খুলনা শহরের ৭টি রিজার্ভার পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। এছাড়া নগর এলাকায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। যার মাধ্যমে গ্রাহককে সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে।

খুলনা ওয়াসা কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে প্রকল্পের বিভিন্ন প্যাকেজে গড়ে ৯৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। জুনের শেষের দিকে ৩০ ও ৩১নং ওয়ার্ডের নতুন বাজার, বানিয়াখামার, লবণচরা জোনে পানি সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে শহরের সব জায়গায় পাইপলাইনে পানি দেওয়া হবে।

তবে পানির সংকট মেটাতে আরও দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির মহাসচিব শেখ আশরাফ-উজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ওয়াসা তার কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে নগরবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেবে এটাই প্রত্যাশা।’

ওয়াসা সূত্র জানায়, প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২ হাজার ৫২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এর মধ্যে জিওবি ফান্ডের বাইরে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এডিবি থেকে ৫২৩ কোটি ৭৭ লাখ ৯৬ হাজার ও জাইকা থেকে ১ হাজার ২৮৪ কোটি ১২ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো
নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: আখতার
নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: আখতার
জুলাইযোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
জুলাইযোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা