খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশির চরমুখ এলাকার বাঁধটি আবারও ভাঙনের কবলে পড়েছে। গত এক মাসে তিন বার ভাঙলো বাঁধটি। সর্বশেষ রবিবার দুপুরে কপোতাক্ষ নদীর পানির জোয়ারে ভেঙে গেছে বাঁধটি। এতে প্লাবিত হয়েছে দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম। ফলে ওই এলাকার চার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
কয়রার নাগরিক নেতা ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, শনিবার চরমুখ এলাকার রিং বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়৷ পরে স্বেচ্ছাশ্রমে তা মেরামত করা হয়। রবিবার সকাল থেকেও মেরামতের কাজ চলছিল। বিকাল ৩টার দিকে কপোতাক্ষের জোয়ারের পানির চাপ বেড়ে যায়। এতে শনিবার ভাঙনের স্থান থেকে প্রায় ৩০০ হাত আবারও ভেঙে যায়। এতে কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাাকবাড়িয়া, মঠবাড়িয়া এলাকায় বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে লোকালয়ে। এর আগে গত ১৭ জুলাই বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এ নিয়ে এক মাসে তিনবার ভাঙলো বাঁধটি।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের বাসিন্দা সজিব হোসেন বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাঁধের দুই জায়গা ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে।বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষজন।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আছের আলী বলেন, নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানির চাপে দুর্বল বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, মহারাজপুর ইউনিয়নের পূর্ব মঠবাড়ি পোবনার ক্লোজার এলাকায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামত করে। বাঁধের অধিকাংশ জায়গায় মাটি বসে যাওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা গ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের স্লুইসগেটের পাশ দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের কাটকাটা হরিহরপুর সড়কের দুই জায়গায় বেড়িবাঁধ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি লঞ্চঘাট ও সুতির অপিস স্লুইসগেট শাকবাড়িয়া নদীর জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।