দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘এখন মারলে পাল্টা মাইর দিতে হবে, সে যেই হোক। কোনও সভা-সমাবেশে খালি হাতে যাবেন না। সাদা পোশাকে হোক কিংবা উর্দিওয়ালা; কোনও অসুবিধা নেই। এখন বক্তৃতা আর স্লোগানে কাজ হবে না। যেখানে আপনারা মারধরের শিকার হবেন, সেখানে পাল্টা মাইর দিতে হবে—এটাই গণতান্ত্রিক চর্চা। সারাদেশে একযোগে আন্দোলন হচ্ছে, হতে থাকবে। এই দেশকে হায়েনার হাত থেকে মুক্ত করবো—ইনশাআল্লাহ।’
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় যশোর শহরের মুড়লী মোড়ে রোডমার্চের সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ থেকে শুরু হওয়া রোডমার্চ মাগুরা সদর উপজেলার আলমখালী বাজার থেকে বিকালে যশোরের বাঘারপাড়ায় এসে পৌঁছায়। সেখানে পথসভা শেষে বিকাল ৪টায় রোডমার্চের বহরটি মুড়লী মোড়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের ভাগনে দেশ থেকে এক লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন। যে টাকা দিয়ে দেশে কমপক্ষে ১০টি পদ্মা সেতু করা যেতো। তথাকথিত উন্নয়নের নামে টাকাগুলো বিদেশে পাচার করা হয়েছে। মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জয়ের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করলে তার কিছু আসে যায় না। কথা তো ঠিকই বলেছেন তিনি। সম্পদ তো আপনার নয়, জয়েরও নয়। সম্পদ হচ্ছে আমাদের। আমাদের ঘামের টাকা এগুলো। এসব পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনুন, জনগণকে মাফ করেন। অনেক শোষণ করেছেন, রক্ত চুষতে চুষতে দেশের মানুষকে ফ্যাকাশে বানিয়ে ফেলেছেন। এবার বিদায় নেন।’
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘জনগণকে মাফ করেন। ক্ষমতা ছাড়েন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন। আমার নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন। দেশের লোক তাহলে আপনাকে মাফ করলেও করতে পারে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু ও সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
সকাল থেকে মুড়লী সড়কে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হন। বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে আসেন তারা। এ ছাড়া ব্যানার ও স্লোগানের মাধ্যমে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন অনেকে। এ সময় নানা স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।