নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘নাগরিক সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে সব তথ্য জানা যাবে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব সেবার ক্ষেত্রে স্মার্টকার্ডের প্রয়োজন আছে।’
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্টকার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে জানিয়ে আহসান হাবিব বলেন, ‘ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং ১০ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি হয় স্মার্টকার্ড। প্রথম পর্যায়ে ইতালি, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্র ও আবুধাবি থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীদের স্মার্টকার্ড দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে থাকা প্রবাসীদের দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্টকার্ড তৈরি করা হবে।’
রবিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অডিটোরিয়ামে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেসের (আইডিইএ) প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান।