যশোরের শার্শার বেনাপোল পোর্ট থানার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুপপাড়া গ্রামে ঈদুল আজহার নামাজ পড়াকে কেন্দ্র বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ঈদের নামাজ পড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।
বিএনপির একপক্ষ বলে ময়দানে আওয়ামী লীগের কোনও লোক এখানে নামাজ পড়তে পারবে না। অন্য পক্ষ বলে, না তারা ঈদের নামাজ এখানে পড়বে। এ নিয়েই বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা বাধে।
এ ঘটনাকেই কেন্দ্র করে শনিবার (৭ জুন) রাত ৯ টার দিকে বেনাপোলের ডুপপাড়া গ্রামের জামতলা নামক এলাকায় আব্দুল হাই (৫৫) নামে বিএনপির এক কর্মীর ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের দিন সকালে ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। ওই সময় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জামসুরের ছেলে আবু সাইদ (৩৫) ও তার সঙ্গে থাকা ৪-৫ জন লোক কতিপয় আওয়ামী সমর্থককে ঈদের জামাতে অংশগ্রহণে বাধা দেয়। এ সময় আব্দুল হাই বিষয়টির প্রতিবাদ করলে রাতে সাইদসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে এসে আব্দুল হাইকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, নিহত আব্দুল হাই একজন বিএনপির কর্মী। কে বা কারা তার ওপর ককটেল মেরেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
শার্শা থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়েছি বেনাপোলের বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ডুপপাড়া গ্রামের জামতলা নামক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আব্দুল হাই নামে একজন আহত হয়েছেন। তার স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আব্দুল হাইকে কে বা কারা লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করেছে সেটা তদন্ত করা হচ্ছে।