জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে যমুনা সার কারখানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ ১২ জন আহতের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তারের স্বামী মোস্তাক হোসেন ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার এসআই আব্দুল মালেক বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬০-৬৫ জনকে আসামি করে এই মামলা করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, যমুনা সার কারখানায় পরিবহন চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ৩০ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম মানিক গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশের এসআই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম ও আশরাফুল আলম মানিককে আসামি করে উভয়পক্ষের ১২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সম্প্রতি মামলার আসামিরা জামিনে আসার পর উভয়পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। এতে তিন পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ১২ জন আহত হন।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলার শিকার হন। এ সময় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৬০-৬৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’