অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ময়মনসিংহের প্রতিটি পশুর হাটে গরু বেশি কিন্তু সে তুলনায় ক্রেতা কম। বিক্রেতা মনে করছেন, অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণেই বিক্রি কম হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের একদিন আগে আমাদের গরুগুলো দ্রুত বিক্রি হয়ে যেত। আর এ বছর ঈদের মাত্র একদিন বাকি আছে এখন পর্যন্ত আমরা গরু বিক্রি করতে পারিনি।
কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বড় গরুর ক্রেতা কম, ক্রেতাদের দৃষ্টি ছোট এবং মাঝারি গরুর দিকে। অনেকেই আবার কয়েকজন মিলে কোরবানি দেবেন তাই খুঁজছেন পছন্দের গরুটি।
ময়মনসিংহে সরকারিভাবে ৭২টি হাট থাকলেও অস্থায়ী হাটের সংখ্যা রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক। প্রতিটি হাটেই পর্যাপ্ত গরু উঠেছে। ঈদ কাছাকাছি হলেও এখনও বিক্রি শুরু হয়নি সেভাবে। সবাই আশা করছেন হয়তো আগামীকাল শুক্রবার জমে উঠবে কোরবানির পশুর হাট।
গরুর হাট কর্তৃপক্ষরা বলেছেন, এবার হয়তো গরু কম বিক্রি হবে। গরুর দামও গেলো বারের তুলনায় তুলনামূলক অনেক কম।
ক্রেতারা বলছেন, বাজারে দাম কম থাকায় এবার হয়তোবা সঠিক মূল্যে গরু কিনতে পারবো।
এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াহেদুল আলম জানান, ময়মনসিংহের পশুর হাটগুলোতে মনিটরিং করার জন্য ৫২টি টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে এই টিম জোরদার তদারকি করছে। যাতে করে বিক্রেতারা কোনও অসুস্থ পশু বাজারে বিক্রি করতে না পারে।