নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের নতুন বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি ও শ্রমিক দলের দুই নেতাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী। তবে অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে তাদের সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুরে মদন অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের কমান্ডার লে. মো. শাহরিয়ার আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত বুধবার (১১ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে কেন্দুয়া পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ অভিযান চালায় সেনাবাহিনী।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সম্পাদক মো. আব্দুল আউয়াল খান (৬৫) ও পৌর শ্রমিক দলের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আনিছুর রহমান কাদিল (৩৫)। তাদের বাড়ি উপজেলার চিরাং ইউনিয়নের ছিলিমপুর গ্রামে। ছিলিমপুর গ্রামের মৃত আব্দুস সালাম খানের ছেলে আব্দুল আউয়াল খান এবং আব্দুল মোমেন খান কাদেরীর ছেলে আনিছুর রহমান কাদিল।
স্থানীয় লোকজন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কেন্দুয়া শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকায় চলাচলকারী প্রতিটি বাস থেকে দলের নাম ভাঙিয়ে ২ হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল একটি চক্র। স্থানীয়দের কয়েকজন চাঁদাবাজির এমন তথ্য প্রমাণের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি পার্শ্ববর্তী মদন সেনা ক্যাম্পে পাঠায়। পরে বুধবার রাতে বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা। চাঁদা তোলার সময় হাতেনাতে ওই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও বেশ কয়েকজন সহযোগীর নাম প্রকাশ করেন। শেষে তাদের থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
সেনা কর্মকর্তা মো. শাহরিয়ার আহম্মেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজি করার সময় ওই দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো কয়েকজন সহযোগীর নাম জানিয়েছে। ওই নামগুলো পুলিশকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি গ্রেফতার দুই জনকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।‘
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেফতার দুজনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। পরে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’