জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা খাদ্য গুদামে রাতের বেলা অবৈধভাবে ধান রাখার অভিযোগে যুবলীগ নেতার দুই ট্রাক ধান আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ট্রাক চালক মোকারম এবং রবিউলকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে গুদামে ধান নেওয়া দেখে কালাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছানোয়ার হোসেন বাধা দেন। পরে খবর পেয়ে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম পুলিশ নিয়ে গুদাম থেকে ট্রাক দু’টি আটক করেন।
জানা যায়, গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এল এস ডি আব্দুস সোবহানের যোগসাজসে পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক ও স্থানীয় চাতাল ব্যবসায়ী মোস্তাফিজার রহমান রাতে গুদামে ধান রাখছিলেন।
কালাই কাজিপাড়া গ্রামের কৃষক মঈন হোসেন জানান,দিনের বেলায় ধান রাখতে আসলেও তার ধান রাখতে দেওয়া হয়নি। রাতে ট্রাকে করে গোপনে ব্যবসায়ীর ধান নেওয়া তিনিই প্রথম দেখে যুবলীগ নেতা ছানোয়ারকে খবর দেন।
থানায় আটক ট্রাক চালক মোকারম এবং রবিউল জানান, কালাইয়ের পাঁচশিরা বাজারের শফিকুল ইসলাম এবং মোস্তাফিজার রহমানের চাতাল থেকে দুই ট্রাকে ২২৫ ও ২৪০ বস্তা ধান তারা খাদ্য গুদামে সন্ধ্যার দিকে নিয়ে আসেন। গুদাম কর্তৃপক্ষ একটি ট্রাক থেকে প্রায় অর্ধেক বস্তা ধান নামানোর পর পুলিশ তাদের আটক করে।
কালাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ছানোয়ার হোসেন জানান, গুদামে কৃষকের পরিবর্তে ব্যবসায়ীর ধান রাখা অবৈধ।
কালাইয়ের ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সন্ধ্যার আগে ওই দুই ট্রাক ধান গুদাম থেকে ফেরত দেওয়া হয়। পরে বাইরে হট্টগোল শুনে তিনি নিজেই পুলিশকে খবর দেন। ধানের মালিককে চেনেন না বলেও জানান তিনি।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাতে অবৈধভাবে গুদামে ধান নেওয়ার খবর স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পেয়ে তিনি চালকসহ ট্রাক দু’টি আটক করে থানায় এনেছেন। পরে এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে।
ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা মোস্তাফিজার রহমানের সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
/এসএনএইচ/ এমএসএম/