X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

জয়পুরহাটে মতিন হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১৭ আগস্ট ২০১৬, ১৬:২২আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০১৬, ১৭:৫৬

আদালত

জয়পুরহাটের চাঞ্চল্যকর আব্দুল মতিন হত্যা মামলায় সাত আসামির মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে। আজ বুধবার জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুর রহিম এ রায় দিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী মন্ডলপাড়া গ্রামের আব্দুল মতিনকে প্রতিপক্ষরা কুপিয়ে আহত করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শাহ আলম একই গ্রামের ৯ জনকে আসামি করে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। মামলা চলাকালে মন্তাজ নামের এক আসামির মৃত্যু হয়।

মামলায় দীর্ঘ শুনানির পর আজ বুধবার (১৭ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাকি আট আসামির মধ্যে  সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবনের সাজার রায় দেন বিচারক। পাশাপাশি আদালত আসামিদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন মৃত আব্দুল কাদের মন্ডলের পুত্র ওয়াজেদ আলী (৫৪) তার দুই ছেলে আনু (২০) ও আবু হাসান (২৫) মোবারক আলীর দুই ছেলে চৈতুন মোল্লা (৪৩) ও  ছাফাদুল মোল্লা (৩৮) মৃত আব্দুল কাদের প্রামাণিকের পুত্র মছির উদ্দিন (৪৮) মৃত মোক্তার আলীর পুত্র মুন্টু (৩০)। তাদের সবার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধারকী মন্ডলপাড়া গ্রামে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে মুন্টু আদালত থেকে জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র মাহবুব আলম বাবু (২৫)।

এ মামলায় অন্য আসামি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের আরেক ছেলে মন্তাজ উদ্দিন (৫১) মামলা চলাকালে মৃত্যুবরণ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের  উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী মামলাটি তদন্ত করে ২০০৭ সালে ৩০ মার্চ ৯ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের দশজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত ওই রায় দেন।

জেলা ও দায়রা জজ রায়ে উল্লেখ করেন, পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার হওয়ার পর তার রায় কার্যকর করা হবে। হাইকোর্টের অনুমোদন সাপেক্ষে রশিতে ঝুলিয়ে আসামিদের ফাঁসি কার্যকর করা হবে। আসামিরা সাত দিনের মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। 

মামলার বাদি শাহ আলম তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রায় ১০ বছর দেরিতে হলেও ভাই হত্যার এ রায়ে তিনি ভিষণ খুশি। অবিলম্বে এ রায় কার্যকরের দাবি জানান তিনি।

বাদি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল, আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান ও আব্দুর রহমান। আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আবু ইউসুফ মো. খলিলুর রহমান ও নন্দকিশোর আগরওয়ালা।

আরও পড়ুন- 

নব্য জেএমবি: এক জঙ্গি ২২ হামলায় জড়িত!


৩ বছরেও চালু হয়নি বেনাপোল স্থলবন্দর বাস টার্মিনাল

/এফএস/ 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
উপজেলা নির্বাচনদলের সিদ্ধান্ত না মেনে ভোটে আছেন মন্ত্রী-এমপির যেসব স্বজন
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৪ এপ্রিল, ২০২৪)
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
চেলসিকে গুঁড়িয়ে দিলো আর্সেনাল
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে কাঁদলেন মিতুর মা
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক