লিবিয়া পাচারকালে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে ৩৯ জনকে উদ্ধার করছে র্যাব। বুধবার (১২ অক্টোবর) দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে র্যাব-৭’এর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। পাচারকারীরা অগ্রিম কোনও টাকা ছাড়াই তাদের লিবিয়া পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলো।
র্যাব জানায়, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা সবাই গরিব ঘরের। বেশির ভাগই এসেছে সিলেট, ঢাকা, মাদারীপুর, মৌলভীবাজার, ফরিদপুর ও সুনামগঞ্জ থেকে। পাচারকারীদের সঙ্গে চুক্তি ছিলো, লিবিয়া পৌঁছে তারা টাকা দেবে। কিন্তু পাচারকারীরা সাধারণত লিবিয়ায় নেওয়ার পর এদের ওপর নির্যাতন শুরু করে এবং এদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পেছনে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র জড়িত বলেও জানায় র্যাব।
৩৯ জনকে উদ্ধার করা গেলেও একই দিনে একটি বিমানে করে ২১ জনকে পাচার করা হয়েছে। র্যাব-৭’এর চিফ কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অভিযানের সময় সৌদি বিমানের একটি ফ্লাইটে ২১ জনের একটি গ্রুপ বাংলাদেশ পার হয়ে যায়।’
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা মোট ৩৯ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এদের মধ্যে ২০ জনকে উদ্ধার করা হয় বিমানবন্দরের বাইরে থেকে। এরা সবাই বিমানবন্দরের প্রবেশমুখে তল্লাশির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বাকি ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয় বিমানবন্দরের ভেতর থেকে।’
র্যাব জানায়, পাচারের ক্ষেত্রে আবাসিক হোটেলগুলো ব্যবহার করে থাকে পাচারকারীরা। তারা বিভিন্ন জেলা থেকে গরিব লোকজনকে এনে প্রথমে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে রাখে। এরপর সেখান থেকে নেওয়া হয় চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে। তবে দেশের প্রতিটি বিমানবন্দরে পাচার চক্র সক্রিয় বলে জানায় র্যাব।
/এআরএল/
আরও পড়ুন: