স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে গাজীপুরে এক যুবককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম সেলিম (৩২)।গাজীপুর জেলা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া বুধবার বিকেলে এ দণ্ডাদেশ দেন।
সেলিম গাজীপুর সদর উপজেলার ক্ষুদে বর্মী এলাকার হামিদ আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি ক্ষুদে বর্মীর একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র সেলিম তার সহপাঠী রাকিব হোসেনকে কুল (বরই) খাওয়ানোর কথা বলে খুন্দিয়া গ্রামের সোবহানের স্ত্রী হাসনারা বেগমের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম কুল বাগানে ঢোকার আগেই বাটাল হাতে নিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে সেলিমকে ধরে ফেলে এবং নূরুল ইসলামের হাতে থাকা বাটালটি সেলিমের পেটে ঢুকিয়ে দেয়। রাকিব পালিয়ে বেঁচে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গাজীপুর জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা হযরত আলী বাদী হয়ে নূরুল ইসলামকে প্রধান আসামি এবং বাড়ির মালিক হাসনারা বেগমকে হুকুমের আসামি করে ওদিনই জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন তদন্ত শেষে আসামি নুরুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৯ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলায় ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বুধবার আদালত রায় দেন। এ মামলায় আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অহিদুজ্জামান আকন্দ।
/টিএন/