সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শটগানের গুলিতে আহত সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল মারা গেছেন। শুক্রবার ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়, তিনি দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড়ে অবস্থিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালের চিকিৎসক হাফিজ রহমান মিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।’
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সুশান্ত কুমার জানান, গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের মাথার ভেতরে রক্তক্ষরণ হয়েছিলো। অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে রাখার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সাইন্স হাসপাতালে পাঠানোর চেষ্টা চলছিলো।
সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের ভাই মকবুল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঢাকায় যাওয়ার পথে বেলা ১টার দিকে টাঙ্গাইলে তার (শিমুল) মৃত্যু হয়। মৃতদেহ শাহজাদপুর থানায় আছে। পুলিশ সেখান থেকে সিরাজগঞ্জ মর্গে পাঠাবে ‘
মকবুল হোসেন আরও জানান, সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণের ছবি তোলার কারণেই মেয়রের ভাই পিন্টু তার ভাই শিমুলের মাথায় গুলি করে। এ ব্যাপারে মামা আবদুল মজিদ মন্ডল শাজাহানপুর থানায় মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, শাহজাদপুরের দিলরুবা বাস টার্মিনাল থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত রাস্তার কাজ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালিবাড়ি এলাকায় শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরু’র ছোট ভাই হাসিবুল ইসলাম পিন্টু পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিমের শালা ছাত্রনেতা বিজয়কে বেধড়ক মারপিট করে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দলের কর্মী-সমর্থক ও তার মহল্লা কান্দাপাড়ার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দিলরুবা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ অবস্থায় অবরোধকারীদের একটি অংশ ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরামপুর এলাকায় অবস্থিত পৌর মেয়রের বাড়ি ঘিরে ফেলে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এসময় মেয়র তার নিজের শটগান দিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত স্থানীয় সাংবাদিক শিমুলের মাথায় ও মুখে গুলি লাগে। এতে গুরুতর আহত হন শিমুল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় শুধু মেয়রের শটগান থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছিল।
/এমও/