চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দুই জঙ্গি আস্তানার একটিতে পুলিশের অভিযানে আটক হয়েছে দুই জঙ্গি। তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়েছে। এখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্য আস্তানাটি এখনও ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে অবরুদ্ধ রয়েছে তিন জঙ্গি। তারা জেএমবি সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। অভিযানে সহায়তা করতে ঢাকা থেকে একটি সোয়াত টিম রয়েছে চট্টগ্রামের পথে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভার আমিরাবাদ এলাকায় নামারবাজারে ‘সাধনকুটির’ নামের একটি বাড়ি থেকে জসিম ও আরজিনা নামের দুই জঙ্গিকে আটক করে পুলিশ।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মাহবুব মিল্কি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সাধনকুটিরের অভিযানে এক নারী ও এক পুরুষকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা নিজেদের স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। তাদের সঙ্গে তিন মাস বয়সী একটি শিশুও আছে।’ ওই বাড়ি থেকে অস্ত্র, গুলি, গানপাউডারসহ বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, সীতাকুণ্ডের প্রেমতলার কলেজ রোডে ছায়ানীড় নামের একটি বাড়ি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে এখনও ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ৩টা থেকে ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছে।
ওই বাড়ির ভেতর থেকে ছোঁড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল আহত হয়েছেন। বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মসিউদৌলা রেজা।
এই বাড়িটিতে অবরুদ্ধ তিন জঙ্গি জেএমবি সদস্য বলে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এই পুলিশ কর্মকর্তা রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছায়ানীড় বাড়িতে যারা আছে, তারা জেএমবি সদস্য বলে জানতে পেরেছি। ওই বাড়ির নিচতলায় ওরা আছে। ওখানে দুই পুরুষ ও এক নারী জঙ্গির উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছি। আমরাও পজিশন নিয়ে আছি।’
ডিআইজি বলেন, ‘ওই বাড়িতে আরও তিনটি পরিবার রয়েছে। তাদের এখনও বের করতে পারিনি বাড়ি থেকে। আমরা বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছি। অন্য পরিবারগুলোকে বের করার চেষ্টা চলছে।’ ছায়ানীড় ও সাধনকুটিরের জঙ্গিরা একই দলের বলেও জানান ডিআইজি শফিকুল ইসলাম।
জঙ্গিবিরোধী এই অভিযানে সহায়তার জন্য ঢাকা থেকে সোয়াত টিম আসছে বলেও জানান ডিআইজি।
আরও পড়ুন-