রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চারুকলা অনুষদে শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে চিঠি দিয়েছে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের আগে এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহেমদ।
সায়েন উদ্দিন আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভাস্কর্য বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে চিঠি দিয়েছে। যেহেতু উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নেই, তাই এ বিষয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ অন্যদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য নিয়োগের পর ওই চিঠি তার কাছে পেশ করা হবে। তারপর তদন্ত বা অন্য কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এবং প্রক্রিয়া মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, গত ১৯ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদ খালি রয়েছে। এরপর এক মাস পেরিয়ে গেলেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ হয়নি।
এর আগে বুধবার (১৯ এপ্রিল) মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোস্তফা শরীফ আনোয়ার ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং অনুষদের ডিনের কাছে চিঠি দেন।
ওই চিঠিতে বলা হয়, ‘মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের ভাস্কর্য উল্টানোর ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। এটি একটি ন্যাক্কারজনক কাজ যা বিভাগের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।’
প্রসঙ্গত, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় প্রায় তিন শতাধিক ভাস্কর্য উল্টিয়ে ফেলে মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাস্কর্য বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ইউসুফ আলী স্বাধীন ও ইমরান হোসাইন সাংবাদিকদের কাছে এর দায় স্বীকার করেন। তাদের অভিযোগ, যেখানে ভাস্কর্যগুলো রাখা হয়, সে জায়গার নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর, ভাস্কর্যগুলোর পরিচর্যা, চারুকলা গেটে পুলিশ চৌকি স্থাপন, সেশনজট দূর ও শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করার দাবিতে তারা এ কাজ করেছেন।
/এআর/