ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে যে দুটি বাড়িতে র্যাব অভিযান চালাচ্ছে তার একটি থেকে বোমা ও বিস্ফোরক তৈরির বেশকিছু উপাদান পাওয়া গেছে। সেলিমের বাড়ির পেছনের বাগান থেকে পাঁচটি বোমা, দুটি ডিনামাইট স্টিক, ১৫ থেকে ২০টি সার্কিট উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুনির আহমেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে দুটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। বাড়ি দুটির মালিক সেলিম ও প্রান্তর কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এ অভিযান চলছে। সেলিম ও প্রান্ত সম্পর্কে চাচাতো ভাই। সেলিম মহেশপুর উপজেলার বজরাপুর গ্রামের জঙ্গি আস্তানায় অভিযানে নিহত জঙ্গি তুহিনের ভাই।
জঙ্গি আস্তানায় প্রবেশের আগে র্যাব-৬ এর সিও খন্দকার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সোমবার রাত ১টার দিকে র্যাবের একটি দল টহল দেওয়ার সময় সেলিম ও প্রান্তকে আটক করে। তারা নব্য জেএমবির সদস্য। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তিনটি স্থানের কথা বলে। সেই তিন জায়গার মধ্যে একটির অভিযান শেষ হয়েছে। ওই আস্তানা থেকে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুই আস্তানায় অভিযান চলছে। তিনটি বাড়ি পাশাপাশি বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি দুটি ঘিরে রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে বেলা ১১টার দিকে সেখানে অভিযান শুরু করে র্যাব। খুলনা থেকে আসা বোম্ব ডিসপোজাল টিম এ অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
গত ৭ মে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় বজরাপুর এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় ‘অপারেশন সাটল স্প্লিট’ (Subtle Split) চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়। একইদিন বজরাপুরের পাশাপাশি সদর উপজেলার লেবুতলায়ও একটি পরিত্যক্ত জঙ্গি আস্তানা থেকে কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় সিটিটিসি ইউনিটের সদস্যরা ‘অপারেশন সাউথ প’ চালায়। ওই আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাড়ির ভেতর থেকে ১৫টি জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
/এফএস/
আরও পড়ুন-
হলি আর্টিজানের মতো ঝুঁকি এখনও রয়েছে: ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত