রাঙামাটির লংগদুতে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষ থেকে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৯৮ জনের নাম উল্লেখ করে ও তিন শতাধিক অজ্ঞাত লোককে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেছেন কিশোর চাকমা নামের একজন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পক্ষে বাদী হয়ে তিনি শনিবার রাতে এই মামলা দায়ের করেছেন। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. সরওয়ার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে একই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গত ৩ জুন লংগদু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতপরিচয় প্রায় তিন থেকে চারশ জনকে আসামি করে ওই মামলাটি করে পুলিশ। এই মামলায় শনিবার (১০ জুন) পর্যন্ত ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মমিনুল ইসলাম। সর্বশেষ শনিবার রাতে লংগদু থেকে ইসমাইল (৩২), হাফেজ (৩২) ও ছাইদুল (৪০) নামের তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
গত ১ জুন লংগদু উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোটরসাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নের লাশ দীঘিনালার চারমাইল এলাকায় পাওয়া যায়। স্থানীয় বাঙালিরা এই ঘটনার জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক চরমপন্থী সংগঠনগুলোকে দায়ী করে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২ জুন সকালে নয়নের লাশ নিয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা সদরে আসার পথে পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে। এসময় দুইশতাধিক বাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওইদিন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পরের দিন তা প্রত্যাহার করা হয়।
৯ জুন শুক্রবার খাগড়াছড়ির দিঘীনালা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে তারা নয়ন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানায় পুলিশ। নয়নের মোটরসাইকেলটিও দিঘীনালার একটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
/এফএস/
আরও পড়ুন-