জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ইমরান আহমেদ তার গ্রামের বাড়িতে দানশীল হিসেবে পরিচিত। ইমরানের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়ীয়া উপজেলার ধানীশাফা ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামে। ১০ জুন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে জিম টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইমরানকে গ্রেফতার করে র্যাব।
মঠবাড়ীয়ার ৩ নং বুড়িরচর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খোকন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ইমরান এলাকায় দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। ঈদেও আগে তিনি বাড়িতে আসেন এবং এলাকার অসহায় লোকদের কাপড়-চোপড় ও টাকা-পয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন। এছাড়া তিনি অনেক বয়সী লোকজনকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা দিতেন।’
ইমরানের চাচাতো ভাই আবুল কালাম আজাদ জানান, তার চাচা প্রয়াত মাহাতাব হোসেন বাদশা মিয়া ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকে কোম্পানিতে ঊর্ধ্বতন পদে চাকরি করতেন। ইমরানরা চার ভাই। এক ভাই জাকির হোসেন গাজীপুরে গার্মেন্টস ব্যবসা করেন। আরেক ভাই আবু সালেহ আকন চীনে ব্যবসা করেন। ছোট ভাই বাবু আকন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন।
তিনি আরও বলেন, ইমরান আহমেদ ৫ বছর আগে এলাকায় একটি মাদ্রাসা ভবন তৈরি করে দিয়েছেন। স্থানীয়দের অনুদানে এটি চলে।
স্থানীয় কামরুজ্জামান বাদশা বলেন, প্রতি বছর ২০ রোজার পরে ইমরান আহমেদ বাড়িতে এসে লোকজনকে জাকাত ফেতরার টাকা পয়সা দিত। এ সময় ৪-৫ দিন তার বাড়িতে থাকতো। বাড়িতে নিজেদের ঘর না থাকায় আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে থাকতেন।
কামরুজ্জামান বাদশার দাবি, ইমরান একজন ভালো মানুষ। তিনি এরকম জঙ্গি কার্যক্রমে যুক্ত হতে পারেন না।
প্রসঙ্গত, জঙ্গি অর্থায়নের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে ইমরান আহমেদ ও তার সহযোগী শামীম মিয়াকেও আটক করেছে র্যাব। রবিবার (১১ জুন) র্যাব এ তথ্য জানায়।
র্যাব জানায়, ইমরান বর্তমানে নব্য জেএমবির কেন্দ্রীয় দাওয়াত কমিটির শুরা সদস্য। ঢাকার গুলশান, বনানী ও মিরপুর এলাকার দাওয়াতী শাখার আমির হিসেবে কাজ করছে সে। এছাড়া আরও ১০টি জেলার দাওয়াতী কার্যক্রম সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ হয় তার মাধ্যমে। ইমরান কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গিদের অর্থায়ন করে আসছে। তবে তার কারখানার আর কেউ জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত আছে কিনা তা জানাতে পারেননি র্যাব সদস্যরা।
/এসটি/