টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের জেলার ৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে তারা শুকনো খাবারের সঙ্গে সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। এদিকে, বৃষ্টি ও ঢল অব্যাহত থাকায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সময়ে সময়ে প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। অন্যদিকে, পীরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামে বন্যার আতঙ্কে রেহেনা পারভীন নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, টাঙ্গন নদীতে পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ছোট-বড় ১১টি নদীতে পানি বেড়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় তিন হাজার হেক্টর ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এ পর্যন্ত ২১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নয়ন ব্রিজ এলাকায় দুই কিলোমিটার রেলপথ ডুবে যাওয়ায় দুই দিন থেকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়ের মধ্যে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ত্রাণ ও পুর্নবাসন অফিসের তথ্যমতে, জেলার ৫টি উপজেলায় ৪০টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ অবস্থায় ৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। আরও চাহিদাপত্র পাঠিয়ে ত্রাণ ও নগদ টাকা চাওয়া হয়েছে।
/এমএ/