নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ‘কুমিল্লা হাউজে’ প্রবেশের জন্য বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের অপেক্ষা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট পৌঁছালেই তারা বাড়িটিতে ঢুকবেন। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, ওই বাড়ির মালিক, মালিকের স্ত্রী, কেয়ারটেকার ও কেয়ারটেকারের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ওসি জানান, কুমিল্লা হাউজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বরাব এলাকায় অবস্থিত। ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টায় বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ভবনটির ছাদের একাংশ ও দেয়াল ধসে পড়েছে। এরপর থেকেই বাড়িটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টায় বোমা বিস্ফোরণের পর থেকেই পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। এরই মধ্যে ওই বাড়ি থেকে দগ্ধ দুই জনকে পুলিশি হেফাজতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। আমরা এখন বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের জন্য অপেক্ষা করছি। তারা এলেই বাড়িতে ঢোকা হবে।’ তিনি ইসমাইল আরও বলেন, ‘বিস্ফোরণ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এটি বোমার বিস্ফোরণ। এই বিস্ফোরণে যারা আহত হয়েছে, তারা জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এদিকে, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মঈনুল হক। সকাল ৮টার দিকে তিনি কুমিল্লা হাউজের মালিক আবুল খায়ের, তার স্ত্রী করুণা খায়ের, বাড়িটির কেয়ারটেকার শরিফুল ও তার স্ত্রী নার্গিসকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। এই চার জনকেই পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি ইসমাইল। তিনি জানান, এই চার জনকে নারায়ণগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
‘কুমিল্লা হাউজ’ থেকে ২ জনকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি
মধ্যরাতে রূপগঞ্জের ‘কুমিল্লা হাউজে’ বিস্ফোরণ, জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘেরাও